শাহনাজ খুশী
বেশির ভাগ মায়েদের কোনো দাম্পত্য জীবন থাকে না। থাকে, সবাই মিলে একটা ফ্যামিলি লাইফ। যেটাকেই একটা সম্পূর্ণ জীবন মেনে উচ্ছ¡াসে/আনন্দে অথবা দীর্ঘশ্বাসে জীবনের মূল সময়টা পার করে দেয়। বাবারা তবুও ইয়ার দোস্তদের হাতে হাত মেলায়। চা কফিতে, কথার আসরে এ বেলা/ও বেলা রাঙিয়ে নেয়। দেখা/অদেখা রমণীর সৌন্দর্য নিয়ে আলাপ জমায়। ছোট/বড় মিথ্যা অজুহাতে বিনোদিত হয় কোনো আড্ডায়। মায়ের সে সময় কোথায়। চোখ খুলে বাবু যেন একা না হয়। প্রথমে, স্কুলে/কলেজ/ইউনির্ভাসিটি থেকে ফিরে, সে যেন মাসহ সবকিছু রেডি পাই। যতেœর কোনো শূন্যতা যেন সে ভুলেও না দেখে। সন্তানের নিজস্ব অলিগলি তৈরি হওয়ার পরই, হঠাৎই মনে পড়ে, একদা তো আলো-আঁধারের ছায়ায়, একটা জীবনের আলোকবর্তিকা ছিলো। যা দেখবো বলেই এমন যুদ্ধ/স্বপ্নের ঘরবসতি গড়ে নেওয়া।
আহা কোথায় যেন তা। কতো পেছনে। জীবনের অনেক চেনা জায়গা তখন পুরনো লাগে। চকিতে বোঝা হয়ে যায়, এরই নাম মাতৃত্বের আত্মদান। প্রতিদানবিহীন এক অপার নির্জনতা। তারপরও, চোখের কুয়াশা বারবার আঁচলে সরিয়ে, মা-ই সেদিনের ছোট্ট সন্তানের ঘরে উঁকি দিয়ে আলো জ্বলতে দেখে চমকে ওঠে, দুঃসাহসী হয়ে দুয়ার ঠেলে ঢুকে বলে, ‘ঘুমাসনি কেন রে এখনো। কী হয়েছে তোর। শরীর খারাপ। নাকি মন’। মায়েদের কোনো নিজেস্ব জীবন থাকে না, যৌবনের দুর্বার স্বপ্ন, জীবনের শুরুতেই আঁতুড়ঘরের ন্যাকড়া,কাপড়ে জড়িয়ে নিয়ে, মা স্বেচ্ছায়/স্বজ্ঞানে নির্জনতার মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখে, কপালে এঁকে নেয় ভীষণ গভীর একাকীত্বের গনগনে তিলক...। Shahanaj Khushi-র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।
আপনার মতামত লিখুন :