আয়াছ রনি: [২] গত ৪ অক্টোবর থেকে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার শুরু করার জন্য কয়েক হাজার ট্রলার ইলিশ মাছ ধরার জন্য সাগরে নেমেছে। সাগরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের জেলা পাড়ায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
[৩] ট্রলারের ওপর বসে জেলেরা মাছ ধরার জাল গুছিয়ে নিচ্ছেন। কেউ মাছ সংরক্ষণের জন্য ট্রলারে বরফ ভরছেন। চাল, তেল, তরকারি, জ্বালানিসহ কয়েক দিনের খাদ্যসামগ্রীও মজুত করছেন কেউ কেউ। কিছুক্ষণ পরেই ইলিশের সন্ধানে বঙ্গোপসাগরে নেমে পড়বে ট্রলারগুলো।
[৪] ট্রলারের জেলে সোনা আলী বলেন, টানা ২২ দিন নিষেধাজ্ঞার পর আজ সকাল থেকে শত শত ট্রলার ইলিশ ধরতে সাগরে নেমেছে। একটু পর তাঁদের ট্রলারটিও রওনা দেবে। গত সেপ্টেম্বর মাসে সেন্ট মার্টিন উপকূলে বিপুল ইলিশ ধরা পড়েছিল। তাই তাঁরা মাছ ধরতে ওই দিকেই যাচ্ছেন।
[৫] কক্সবাজার ফিশিংবোট মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেড় হাজারের মতো ট্রলার সাগরে নেমে গেছে। সন্ধ্যার আগে আরও কয়েক হাজার ট্রলার সাগরে নামবে। জেলার টেকনাফ, কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও চকরিয়া উপজেলা মিলিয়ে প্রায় ৬ হাজার মাছ ধরার ছোট বড় ট্রলার আছে।
[৬] ট্রলারমালিক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২১ জন জেলে নিয়ে তাঁর ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরের ৮০ কিলোমিটার গভীরে যাচ্ছে, সেখানে ইলিশের নাগাল পাওয়া যেতে পারে। সেখানে ইলিশের সন্ধান না পেলে ট্রলারটি সেন্ট মার্টিন উপকূলের দিকে যাবে।
[৭] এদিকে সেন্ট মার্টিন থেকেও প্রায় ৩০০টি ট্রলার ইলিশ ধরতে সাগরে নেমেছে। সেন্ট মার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, দ্বীপ থেকে পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে ১২ থেকে ১৫ কিলোমিটার গভীরে গিয়ে জাল ফেললে ইলিশের নাগাল পাওয়া যেতে পারে।
[৮] জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান বলেন, দুই দফায় ৮৭ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় ইলিশের প্রজনন কয়েক গুণ বেড়েছে। ইলিশের আকার ও ওজনও বাড়তি পাওয়া যাবে। কক্সবাজারে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ইলিশ আহরণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
[৯] গত সেপ্টেম্বর মাসে ২ হাজার ২৬৩ মেট্রিক টন ইলিশ ধরা পড়েছিল। চলতি মৌসুমে জেলায় ইলিশ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর ইলিশ আহরণ হয়েছিল ১৫ হাজার ২৫৬ মেট্রিক টন।