মাসুদ আলম: [২] সোমবার রাজধানীর পল্লবীতে ‘কর্ণফুলী মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক শাকিল আহম্মেদসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- চাঁন মিয়া, এ কে আজাদ, মো. রেজাউল, মো. তাজুল ইসলাম, মো. শাহাবুদ্দিন খাঁন, আব্দুস ছাত্তার, মো. মাসুম বিল্লা, মো. টিটু মিয়া ও মো. আতিকুর রহমান।
[৩] প্রতিষ্ঠানটির অফিস থেকে জব্দ করা হয় চার লাখ ২২ হাজার টাকা। এছাড়া প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাবের বই, চেক, ডিপোজিট বই, সিল, ডিপিএসের বই ও পাসপোর্টসহ আরও বেশ কিছু জিনিস জব্দ করা হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার জসীম উদ্দিনকে পাওয়া যায়নি।
[৪] মঙ্গলবার দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে কেউ যদি মাসে ১ হাজার টাকা করে একটি ডিপিএস করে তাহলে বছরে ১২ হাজার টাকা, আর পাঁচ বছরের ৬০ হাজার টাকা জমার কথা বলা হতো। মেয়াদ শেষে তাকে ৯০ হাজার টাকা প্রদানের লোভ দেখানো হতো। টার্গেট সংগ্রহকারী ব্যক্তি প্রথম এক বছর প্রতিমাসে ২০০ টাকা ও পরবর্তী তিনবছর প্রতিমাসে ১০০ টাকা করে লভ্যাংশ পাবে।
[৫] তিনি আরও বলেন, আবার কোম্পানির কোনো সদস্য যদি নতুন কোনো সদস্যকে এক লাখ টাকার এফডিআর করাতে পারে তাহলে তাকে মাসে ১ হাজার টাকা ও এফডিআরকারীকে মাসে ২ হাজার টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেওয়া হতো। আর এভাবে প্রলুব্ধ হয়ে নিম্নআয়ের মানুষ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের লভ্যাংশ প্রদান করা হতো না। ডিপিএসের মেয়াদ পূর্ণ হলেও পরিশোধ করা হতো না পাওনা টাকা।
[৬] তিনি বলেন, ভুক্তভোগীরা যদি সময়মত ডিপিএসের টাকা না পরিশোধ করে তাহলে মেয়াদ শেষে মুনাফা কম পাবে ও নিয়মিত টাকা না দিলে জরিমানাও করা হতো। অধিক মুনাফার লোভে ভুক্তভোগীরা সঠিক সময়ে ডিপিএসের টাকা জমা করত। শাকিলের অফিসের টর্চারশেল হতে মারধরের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয় । জসিম উদ্দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স পাস করে একটি ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে রিপ্রেজেন্টিটিভ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে ‘কর্ণফুলী প্রতিষ্ঠা করেন।
[৭] অধিনায়ক বলেন, জসিমের নামে আটটি নামসর্বস্ব কোম্পানি রয়েছে। প্রতারণার মাধ্যামে অর্জিত টাকায় তার নামে জমি-ফ্ল্যাট, গাড়ি-বাড়িসহ বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের সন্ধান পাওয়া গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :