আনোয়ার হোসেন: [২] ঠাকুরগাঁওয়ের মিলি চক্রবর্তীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) মামলার ভিসেরা রিপোর্টে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির তদন্ত কর্মকতা আব্দুর রাজ্জাক।
[৩] তিনি বলেন, মিলি চক্রবর্তীর মৃত্যুর কারণ আমাদের কাছে এখন স্পষ্ট নয়। মিলির ভিসেরা রিপোর্ট আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। সেই রিপোর্ট মতে বুঝা যায় এটা একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। সেই অনুযায়ী আমরা মামলার তদন্ত আরও বেগবান করব। এর আগে মামলার তদন্তে জড়িত সন্দেহে আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিলাম।
[৪] উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই সকালে শহরের মাহাম্মদ আলী সড়কের পাশে নিজ বাসার গলি থেকে মিলি চক্রবর্তীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে শহরজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পরে ১০ জুলাই পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করে। ৫ আগস্ট সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
[৫] এদিকে স্পষ্ট হত্যাকাণ্ড বোঝার পরও পরিবার থেকে কোনো হত্যা মামলা না করায় সমালোচনা ও সন্দেহের তির পরিবারের দিকেই যেতে থাকে। অনেকেই দাবি করেন বিষয়টি দ্রুত ধামাচাপা দিতে চাইছে মিলির পরিবার।
[৬] কিছুদিন পর মিলির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপ্রীতিকর মেসেজ নিয়ে ঝামেলার বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডি তদন্তে মিলির ছেলে ও শহরের বাসিন্দা বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলামের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করে সিআইডি।
আপনার মতামত লিখুন :