মনিরুল ইসলাম: [২] দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলের জন্য ন্যায্য ক্ষতিপূরণ আদায়ে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৬) কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ আন্দোলন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
[৩] নাগরিক সংগঠন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন এবং বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স ও ফেইথ ইন একশন আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে তারা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে দূর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করে উপকূলের জীবন-জীবিকা রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
[৪] মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র। সমাবেশে বক্তৃতা করেন উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের আমিনুর রসুল বাবুল, নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র মিহির বিশ্বাস, স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, ফেইথ ইন একশনের নির্বাহী পরিচালক নৃপেন বৈদ্য, সমাজ কল্যাণ উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা, সচেতন সংস্থার সাকিলা পারভীন, সাংবাদিক গাজী শাহনেওয়াজ, শহীদ আলীম সাহিত্য সংসদের সানজিদুল ইসলাম প্রমূখ।
[৫] সমাবেশে বক্তারা বলেন, আগামী নভেম্বরে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে বার্ষিক তহবিল বাড়ানোর দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। প্রতিবছর বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ নির্মাণ এবং উপকূলের মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আগামীতে পদক্ষেপ নিতে হবে। আগামীতে সরকারের প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে দূর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা মানুষের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সমন্বয় এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তারা।
[৬] সমাবেশে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি উপকূলজুড়ে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অভিযোজন প্রক্রিয়া বাড়াতে হবে। সুপেয় পানির স্থায়ী সমাধান করতে হবে। এ জন্য বিশ^ জলবায়ু সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ বুঝিয়ে দিতে হবে। এই ক্ষতিপুরণ আদায়ে সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলকে যথাযথ ভূমিকা রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তারা।
আপনার মতামত লিখুন :