শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ০১:৫২ দুপুর
আপডেট : ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ০১:৫২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ছায়াপথের বাইরে প্রথম কোনো গ্রহের লক্ষণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

ডেস্ক নিউজ: আমাদের ছায়াপথ মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গার বাইরে প্রথমবারের মতো কোন গ্রহের লক্ষণ দেখতে পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

সূর্যের চারদিকে যেমন গ্রহগুলো ঘোরে, সেভাবে বিভিন্ন নক্ষত্র ঘিরে ঘুরতে থাকা প্রায় পাঁচ হাজার গ্রহ এর আগে শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু তার সবই আকাশগঙ্গায়। বিবিসি।

এই প্রথমবারের মতো আমাদের ছায়াপথের বাইরে কোন গ্রহের লক্ষণ শনাক্ত করা হলো।

মেসিয়ের ৫১ গ্যালাক্সিতে থাকা এই সম্ভাব্য গ্রহটিকে আবিষ্কার করেছে নাসার চান্দ্রা এক্স-রে টেলিস্কোপ। এ নক্ষত্রপুঞ্জকে প্যাঁচানো আকৃতির জন্য ওয়ার্লপুল বা ঘূর্ণি ছায়াপথ বলেও বর্ণনা করা হয়।

আমাদের ছায়াপথ থেকে এটির দূরত্ব দুই কোটি আশি লাখ আলোকবর্ষ।

হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্স ইন কেমব্রিজের ড. ডি স্টেফানো বলেন, ‘আমরা যে পদ্ধতিতে কাজ করছি, এটাই হলো এখন পর্যন্ত অন্য কোন ছায়াপথে থাকা গ্রহ-নক্ষত্র খুঁজে বের করার কার্যকর উপায়।’

কী সে উপায়? নক্ষত্র থেকে আলো বিকিরিত হতে থাকে। কিন্তু যখন কোন নক্ষত্রের সামনে দিয়ে গ্রহ প্রদক্ষিণ করে, তখন সেই আলোর কিছু অংশ ঢেকে যায়, সেটির এক্স-রে রশ্মি বিকরণ বাধাগ্রস্ত হয়। তখন সেটির সামনে থাকা গ্রহটির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায়, যা টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত থেকে ধারণা করছেন, সম্ভাব্য গ্রহটির আকার হবে শনির মতো। যে নিউট্রন স্টার বা ব্ল্যাক হোল ঘিরে এটি ঘুরছে, সেটির সঙ্গে দূরত্ব সূর্য থেকে শনির দূরত্বের প্রায় দ্বিগুণ।

তবে গবেষকেরা স্বীকার করছেন, বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হতে তাদের আরও তথ্য-উপাত্ত দরকার।

এ ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হলো, বিশাল কক্ষপথের কারণে যে নক্ষত্র বা ব্ল্যাকহোল ঘিরে গ্রহটি ঘুরছে, আবার সেটির সামনে আসতে প্রায় ৭০ বছর সময় লাগে যাবে। ফলে এই আবিষ্কারের ফলোআপ পর্যবেক্ষণের জন্য অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে।

বিজ্ঞানীরা এটাও বিবেচনায় রেখেছেন যে, কোন গ্যাস ও ধুলোর মেঘ সেটির সামনে পড়াতে আলোর বিকিরণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে, যা এক্স-রে রশ্মি বিকরণে বাধা দিয়েছে। সেই সম্ভাবনা খুবই কম বলেও তারা মনে করেন। কারণ যেভাবে আলোর বিকিরণ কমে গেছে, সেটি কোন গ্যাসের আস্তরণের কারণে হয়েছে বলে মনে হয় না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়