মহিবুল হাসান চৌধুরী
২০০৫ সালের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সত্যিকার অর্থে পরিণত হয়েছিলো একটি জাতীয় নির্বাচনে। বিএনপি-জামায়াত জোটের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির আপোসহীন লড়াই। এই ডামাডোলের মধ্যেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করে চট্টগ্রামে এমন এক নির্বাচনী মেনিফেস্টো দিয়েছিলেন, যার ওয়াদাগুলো তখনকার সময়ের জন্য আকাশকুসুম স্বপ্ন বলে অনেকে সমালোচনা করে, কিন্তু এই ওয়াদাগুলোই পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার একটি একটি করে বাস্তবায়ন করে।
আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশের গণমানুষের দল। এর একজন আদর্শিক কর্মী হিসেবে মহিউদ্দিন চৌধুরী শুধুই চট্টগ্রাম শহরের উন্নয়ন নিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেননি। একেবারে মহেশখালী গভীর সমুদ্র বন্দর থেকে, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেললাইন স¤প্রসারণ, কক্সবাজারের পর্যটন, কর্ণফুলীর নিচে টানেল, অনেক কিছুর কথাই ছিলো এই ইশতেহারে। ছিলো বহদ্দারহাট থেকে সিইপি জেড ফ্লাইওভারের কথা, পতেঙ্গা থেকে কালুরঘাট রিংরোডের কথা, সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এর কথা, আরো অনেক কিছুই। আর লক্ষণীয় বিষয় হলো এর প্রায় বেশিরভাগ প্রতিশ্রতিই আওয়ামী লীগ সরকার বাস্তবায়ন করেছে!
২০০৫ সালে দেওয়া লালদিঘীর মাঠের ইশতেহার, শুধুই মাঠ গরমের কথা হিসেবে পড়ে ছিলো না, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ওঠে এসে বাস্তবায়িত হয়েছে। অনেক সুশীল সমালোচক আমাদের দলকে ও সরকারকে অন্যদের সঙ্গে এক করে ফেলতে চায়। তাই তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সেই ইশতেহারের কপি দেওয়া হলো। তারা অনেকেই বলেছিলেন তখন, এসবই আকাশকুসুম কল্পনা। তারা জানতেন না এসব হলো বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার করা ওয়াদা, একটি একটি করে তিনি সেগুলো বাস্তবায়ন করে ছেড়েছেন।
উন্নয়নের একটি লক্ষ্যে বা ভিশন নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত জননেত্রী শেখ হাসিনা কাজ করেন। তার রাজনৈতিক দর্শন বাংলার সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারে গিয়ে এই ইশতেহারের প্রায় সবকিছুই তাই বাস্তবায়ন করেছে। কথা এবং কাজের সঙ্গে মিল রাখে তাহলে কারা? শুধু কথার ফুলঝুরি নয়, কথা দিয়ে কথা রাখা দলটি হলো দেশরত শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ। Mohibul Hasan chowdhury’র ফেসবুক পেজে লেখাটি পড়sন।
আপনার মতামত লিখুন :