ফরহাদ আমিন: [২] কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের চাকমা পল্লীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয়ের নয় জন আহত হয়েছে।
[৩] রোববার বিকেলে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাটাখালী চাকমা পল্লীতে এ ঘটনা ঘটে।[৪]চাকমা পল্লীতে সংঘর্ষের খবর পেয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাকিল আহমেদ সহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
[৪] আহতরা হলেন,হোয়াইক্যং ইউপি কাটাখালীর জ্যোতি চাকমার ছেলে বলি চাকমা (৩৫), আপোষ চাকমা (২৪) ও মেয়ে বিকি চাকমা, জোদিল চাকমার ছেলে বোবল চাকমা (২৭), কাজল চাকমার ছেলে মংবুচিল চাকমা (৩০) আবদুল মজিদের ছেলে মানিক (২০),আব্দুল শুক্কুরের ছেলে রশিদ আমিন(১৯),কালুর ছেলে মো. সেলিম (২৮)।
[৫]স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,একটি মাদকের চালান ছিনতাইকে কেন্দ্র করে চাকমা এবং স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ এবং ঘরে রহস্যজনক অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।তা সাম্প্রদায়িক সংঘাতের গুজব হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে।পরে এই ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে উপজাতীয় নারীকে ইভটিজিং ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে প্রকৃত ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।তবে এ ঘটনার বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া যায়।
[৬]জ্যোতি চাকমা বলেন,চাকমা মেয়েদেরকে ইভটিজিং করার জের ধরে সংঘর্ষ হয়েছে।এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা যায়।
[৭]স্থানীয় ইউপি মেম্বার জালাল আহমদ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন ,স্থানীয় গ্রামবাসী ও চাকমা সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে সালিশ বৈঠকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে চাকমা সম্প্রদায়েরসহ উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়। গুরুতর আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
[৮]হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হক বলেন, ঘটনার বিষয়ে পরস্পর বিরোধী অভিযোগ শোনা যাচ্ছে।
[৯]টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ পারভেজ চৌধুরী বলেন,প্রাথমিকভাবে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সুত্রপাত বলে জানা গেছে।বিষয়টি আরো তদন্ত করা হবে। প্রাথমিকভাবে ভিকটিমদের আইনী সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হয়।