অপূর্ব চৌধুরী: [২] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) গুচ্ছের বি- ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থাপনায় তিন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। তারা হলেন ইসরাত জাহান অনীমা, মোঃ সেলিম ভূইয়া এবং তাবাচ্ছুম তাবিয়া।
[৩] রোববার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অন্যান্যদের মতো তাদেরও পরীক্ষা নেওয়া হয়।
[৪] জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ জন শিক্ষার্থী বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা নেওয়ার আবেদন করলেও অংশগ্রহণ করে ৩জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তারা।
[৫] বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান অনীমা বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতার জন্য আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করি৷ ফলশ্রুতিতে কর্তৃপক্ষ আমাকে মেডিকেল সেন্টারে পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। এতে আমাকে কষ্ট করে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে হয়নি। আমি খুব উপকৃত হয়েছি এবং পরীক্ষাও ভালোভাবে দিতে পেরেছি।
[৬] মোঃ সেলিম ভূইয়া বলেন, শ্রুতি লেখকের সহায়তা চাইলে জবি কর্তৃপক্ষ তা ব্যবস্থা করে দেন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা থাকলেও আমি শ্রুতি লেখকের সহায়তায় পরীক্ষা ভালো দিয়েছি । এভাবে সহায়তা পেলে আমরাও ভবিষ্যতে ভালো করতে পারব।
[৭] আরেক শিক্ষার্থী তাবাচ্ছুম তাবিয়া বলেন, আমার গর্ভাবস্থার একদম শেষ সময়ে পরীক্ষার সময়সূচি পড়েছে। এমতাবস্থায় আমাকে মেডিকেল সাপোর্টের মাধ্যমে পরীক্ষা দিতে হয়। পরীক্ষার সময় কয়েকজন আমার খোঁজ খবর নিয়ে গেছে।
[৮] এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো ইমদাদুল হক বলেন, প্রতিবন্ধকতায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের আমরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত করি। এ সকল শিক্ষার্থীদের মত অন্যরাও যাতে অনুপ্রাণিত হয় সেজন্য আমরা বিশেষ ব্যবস্থাপনায় তাদের পরীক্ষা নিয়েছি। ভবিষ্যতে বিশেষ শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা আরও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিব। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :