মাজহারুল ইসলাম: [২] বর্তমান প্রযুক্তি ও আধুনিকতার যুগে ঢেঁকির মাধ্যমে ধান থেকে চাল তৈরি প্রায় বিলুপ্তির পথে। এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে নতুন রূপে ‘ডিজিটাল ঢেঁকিতে হচ্ছে ঢেঁকি ছাটা চাল। এ ঢেঁকির মাধ্যমে দিনে ৫-৬ মণ ধান ভানা যায়। বাসস
[৩] এ পদ্ধতিতে ধান থেকে চাল তৈরি করে বাজারজাত করছেন ফারুক। এই ঢেঁকি ছাটা চাল সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় সাড়া ফেলেছে এলাকায়। এ পদ্ধতির মাধ্যমে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও করছেন ওমর ফারুক।
[৪] রাণীশংকৈলের ভোরনিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ওমর ফারুক বিদ্যুৎ ও মোটরের মাধ্যমে গত ৬ মাস আগে স্থাপন করেন ‘ডিজিটাল ঢেঁকি’। প্রাচীন ঢেঁকিতে ধানের তুষ ছাড়িয়ে চাল বের করা খুব কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ। তবে ওমর ফারুকের তৈরি করা আধুনিক পদ্ধতির ঢেঁকিতে ধান ভানা খুবই সহজ। এতে কম সময়ে বেশি পরিমাণ চাল বের করা যায়।
[৫] ওমর ফারুক জানান, প্রথমে বাড়ির খাওয়ার ও স্বল্প পরিমাণে ব্যবসায়ের জন্য এ ডিজিটাল ঢেঁকি তৈরী করি। কিন্তু এ চালের চাহিদা থাকায় এখন বাণিজ্যিকভাবে করার কথা ভাবছি।
আপনার মতামত লিখুন :