সঞ্চয় বিশ্বাস: [২] কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখায় প্রধান অভিয়ুক্ত ইকবাল হোসেন মণ্ডপের হনুমানের হাতের গদাটি এলাকার একটি পুকুরে ফেলে দেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[৩] ইকবালকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহমেদ। তবে পুকুরটির অবস্থান সুনির্দিষ্ট করে জানাননি তিনি।
[৪] ধর্ম অবমাননার মামলায় ইকবালসহ চার জনকে শনিবার সাত দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। অন্য আসামিরা হলেন, মণ্ডপে কোরআন পাওয়ার তথ্য ৯৯৯-এ কল করে জানানো ইকরাম হোসেন এবং নগরীর শাহ আবদুল্লাহ গাজীপুরি (রা.)-এর মাজারের সহকারী খাদেম হুমায়ুন আহমেদ ও ফয়সাল আহমেদ। এই মাজারের মসজিদ থেকেই কোরআন নিয়ে মণ্ডপে রাখেন ইকবাল।
[৫] পরে বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাত ৩টার দিকে এক ব্যক্তি কোরআন শরিফটি রেখে যান মণ্ডপে। এ সময় হনুমানের হাতের গদাটি সরিয়ে নেন তিনি। গদা হাতে তার চলে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে ওই এলাকারই কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরায়।
[৬] তিনি বলেন, ‘মণ্ডপে কোরআন রাখার পর হনুমানের গদা নিয়ে ইকবালের চলে যাওয়ার দৃশ্য এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ইকবাল গদাটি পরে একটি পুকুরে ফেলে দেন।’
[৭] এক প্রশ্নের জবাবে দিনি বলেন, ‘ইকবাল কোরআন রাখার পর মণ্ডপে সহিংসতার সময়েও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তার পিছনে আরও কারা আছে, আমরা খতিয়ে দেখছি।’
[৮] তিনি বলেন, ‘সহিংসতার পর ইকবাল প্রথমে কুমিল্লা থেকে ট্রেনে করে চট্টগ্রাম পৌঁছান। সেখান থেকে বিভিন্ন বাহনে করে কক্সবাজারে যান।’সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :