সোহেল মিয়া: [২] রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে নদীর ডান তরী প্রতিরক্ষা প্রকল্পের চর সিলিমপুর এলাকায় কংক্রিটের তৈরি সিসি ব্লক সহ ৫০ মিটার এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ফলে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বসতভিটা সহ রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ।
[৩] বুধবার (২০ অক্টোবর) বিকালে মিজানপুর ইউনিয়নের চর সিলিমপুর ৯নং ওয়ার্ডে এ ভাঙন দেখা দেয়।
[৪] বৃহস্পতিবার(২১ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চর সেলিমপুর এলাকার নদীর ডান তীর প্রতিরক্ষা প্রকল্পের কাজের কংক্রিটের তৈরি সিসি ব্লকসহ ৫০ মিটার অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলতে দেখা গেছে।
[৫] স্থানীয় বাসিন্দা রাজমিস্ত্রী নায়েব আলী শেখ বলেন, গতকাল দুপুর থেকেই ভারি বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি কমার পর বিকেলের দিকে নদীর পারের সিসি ব্লক দাবতে শুরু করে। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই ৫০ মিটার এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
[৬] একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পদ্মার ভাঙন অব্যহত দেখেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন ঠেকাতে কোন কাজ করছে না। যখন ভাঙে তখন কিছু জিও ব্যাগ ফেলেই তাদের কাজ শেষ হয়ে যায়। ভাঙন মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজও ঝিমিয়ে পড়েছে। নদী ভাঙলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোক, মন্ত্রীরা আসে পরিদর্শন করেই চলে যায়। কিন্তু আমরা কোন স্থায়ী সমাধান পাচ্ছি না।
[৭] তার আরও বলেন, প্রকল্পটিতে অনিয়ম ও দূর্নীতি না হলে এমন দুর্দশা হতো না। সিসি ব্লক ফেলে নদীর আগ্রাসী ভূমিকা ঠেকানো সম্ভব না। স্থায়ীভাবে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ না হলে এভাবে ভাঙন চলতে থাকবে।
[৮] পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আহাদ বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে পদ্মায়ও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া নদীতে প্রচুর ঢেউ ও রয়েছে। বুধবার দুপুর থেকে ভারি বৃষ্টি হয়। এই বৃষ্টিতে সিসি ব্লকের নিচের বেড ম্যাটিরিয়াল সরে গিয়ে ওপরের সিসি ব্লক ধসে পড়ে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :