নুরনবী সরকার, লালমনিরহাট থেকে : [২] ভারত থেকে নেমে আসা পানির চাপে তিস্তা ব্যারাজ ফ্লাড বাইপাস ভেঙ্গে গেছে। ব্যারাজ রক্ষার্থে রেড এলার্ট জারি করে তিস্তার তীরবর্তী লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পানি উন্নয়ন বোর্ড মাইকিং করছেন।
[৩] বুধবার দুপুর ২ টায় তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৭০ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরও কি পরিমান পানি আসবে এমন তথ্য নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে।
[৪] হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল জানান, তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় বড়খাতা টু হাতীবান্ধা বাইপাস সড়কটি বিভিন্নস্থানে ভেঙ্গে গেছে। এতে তার ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দীসহ গোটা লালমনিরহাট জেলার ৫ উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী হাজার হাজার একর ফসলী জমি পানিতে ডুবে গেছে।
[৬] এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, পাটগ্রামের দহগ্রাম, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
[৬] লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, পানির চাপে তিস্তা ফ্লাড বাইপাস ভেঙ্গে গেছে। এতে তিস্তার তীরবর্তী অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউএনওদের মাধ্যমে বন্যা পরিস্থিতির খোজখবর নেয়া হচ্ছে।
[৭] পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া’র নির্বাহী প্রকৌশলী আসফুদ্দৌলা বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে তিস্তার পানি বেড়ে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। বুধবার সকাল ৯ টায় ওই পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং দুপুর ১২ টায় বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ব্যারজের ফ্লাড বাইপাসটি পানির চাপে ভেঙ্গে গেছে। তিস্তার পানি ক্রমেই বাড়ছে। আরও কি পরিমান পানি আসতে পারে তা ধারনা করা যাচ্ছে না।