আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] ফিনানশিয়াল টাইমসে লেখা এক কলামে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
[৩] তিনি বলেন, বাংলাদেশ শূন্য কার্বন ভবিষ্যতকে সামনে রেখে বিনিয়োগ শুরু করেছে। তিনি বৈেরন, বিশ্বকে অবশ্যই কপ-২৬ এ বাংলাদেশের মতো উদ্যোগ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
[৪] বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে নিরাপদে রাখতে যতো দ্রুত কার্বন নি:সরণ কমাতে হবে, অন্য দেশগুলো তা করছে না।
[৫] উত্তরবঙ্গের কোটি কোটি মানুষ হিমালয়ের আইসফিল্ডে জমাট বরফ থেকে আসা পানির উপর নির্ভরশীল। উষ্ণ আবহাওয়া এসব মাঠকে গলিয়ে ফেলছে।
[৬] আর দক্ষিণে সাগরের উচ্চাতা বৃদ্ধির কারণে বিপুল পরিমাণ এলাকা ডুবে যাচ্ছে।
[৭] বাংলাদেশি কার্বন নি:সরণের কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রার খুব সামান্যই বাড়ে। তবুও বাংলাদেশ এটুকুও কমিয়ে ফেলার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শূণ্য কার্বনের দিকে এগুলো নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি হবে, যা অর্থনীতির জন্যও ভালো।
[৮] এ বছর সরকার ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করে। তবে এটি আসলে ছোট পদক্ষেপ।
[৯] বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম দেশ যারা জাতীয় জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর আওতায় সক্ষমতা বুদ্ধি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নতুন কাজ সৃষ্টি এবং নাগরিকদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করা হবে।
[১০] এই দশকের শেষ নাগাদ দেশের চাহিদার ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে নবায়ণযোগ্য উৎস থেকে।
[১১] বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, উপক’লজুড়ে উইন্ড ফার্ম নির্মাণ করলে ম্যানগ্রোভ রক্ষার পাশাপাশি উপক’ল সরে যাওয়া ঠেকানো যাবে। রক্ষা পাওয়া যাবে ঝড়-জলোচ্ছোস থেকে।
[১২] নিজেদের তৈরি এই পরিকল্পনা বিশ্বের সব দেশকে বিনা পয়সায় দিয়ে সহায়তা করতে রাজি আছে বাংলাদেশ। তবে শর্ত একটাই বিশ্বকে অবশ্যই প্যারিস জলবায়ু চুক্তি মেনে চলতে হবে।
[১৩] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৫০ বছর আগে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। তাই নতুন এই পরিকল্পনার নাম রাখা হয়েছে মুজিব পরিকল্পনা। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে মুজিব পরিকল্পনাই হবে সারা বিশ্বের মুক্তিদাতা।