সুজন কৈরী ও মিনহাজুল আবেদীন: [২] শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র ‘দুটি যুদ্ধের একটি গল্প’ শীর্ষক এক ডকু ড্রামা প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ কথা বলেন।
[৩] কুমিল্লার ঘটনা কী কারণে ঘটেছে, এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ঘটনার পেছনের কারণ খোঁজা হচ্ছে। যারা এ ঘটনায় জড়িত শিগগিরিই তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
[৪] এ ঘটনার কারণে যারা ক্ষুব্ধ হয়েছে তাদের ধৈর্য ধারণের পরামর্শ দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঘটনার পেছনে কারা এবং কারা এই ঘটনা ঘটাতে পারে- আমরা সবাইকে চিহ্নিত করবো এবং সবার সামনে হাজির করবো।
[৫] পবিত্র কোরআন আমরা মুসলমানরা হৃদয়ে ধারণ করি। কোরআনের অবমাননা যেভাবে দেখানো হয়েছে, আমার বিশ্বাস- কোনো মানুষ, কোনো ধর্মাবলম্বীরাই এটা করতে পারেন না। তারপরও হয়েছে। কেন হয়েছে, কী কারণে হয়েছে এটা আমরা অবশ্যই খুঁজে বের করবো।
[৬] এ ঘটনার পর যারা অহেতুক ভাঙচুরে জড়িয়ে পড়েছে তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা ভাঙচুর থেকে বিরত থাকুন। আশা করছি বুঝতে পারছেন, ভাঙচুর করে কতো ক্ষতি হচ্ছে। তবে সহিংসতা করে কেউ পার পাবেন না।
[৭] ডকু ড্রামাটি দেখে মন্ত্রী বলেন, যে চলচ্চিত্রটি দেখানো হয়েছে তাতে আমি আবেগে আপ্লুত হয়েছি। আমরাও এইভাবে যুদ্ধ করেছি। বহু যুদ্ধাহতরা এইভাবে শহীদ হয়েছেন। অনেকে আহতাবস্থায় নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে যেতে গিয়ে ভারতের বিভিন্ন সীমান্তেও এমন অসংখ্য শহীদের সমাধি রয়েছে।
[৮] তিনি বলেন, ভারতের ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন একবার, বর্ডার এলাকায় অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে দাফন করা হয়েছে। আমি যেন সেই সমাধিগুলো একটু দেখতে যাই। আমি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে কাছে বলেছিলাম। নেত্রী আমাকে বলেছেন- আমাদের বীরদেরকে আমাদের স্বাধীন দেশের মাটিতে সমাহিত করার ব্যবস্থা করুন। আমিও করোনার প্রকোপ কমলে সেখানে যাবো এবং বীরদের সমাধি চিহ্নিত করে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নিবো। সম্পাদনা: খালিদ আহেমেদ
আপনার মতামত লিখুন :