শিমুল মাহমুদ:[২] জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, সামনে শীতকাল। আর শীতকালে আমাদের দেশীয় রেসপিরেটরি ভাইরাসের বেশি সংক্রমণের ফলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার কোনো আশঙ্খা নেই। এই সময়টাতে যতো বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে ততো দ্রুত আমরা কোভিড-১৯ মুক্ত হবো।
[৩] তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে এ সময়ে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও বাংলাদেশে এর সম্ভাবনা নেই। কারণ আমার দেশের বেশিরভাগ মানুষ গরীব। শীতের কাপড় থাকে না। ফলে এই সময় ইনফ্লুয়েঞ্জা, প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা-থ্রি, রাইনো ভাইরাস এবং রেসপিরেটরি সিনসিডিয়াল ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়। শীতের সময় এসব ভাইরাসের কারণে মানুষ সর্দি, কাশি জ্বরে আক্রান্ত হয়। আর একটি ভাইরাস শরীরে থাকলে তখন আরেকটি ভাইরাস ঢুকতে পারে না, এটা আমার ধারণা।
[৪] সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন বলেন, বিশ্ব থেকে করোনা ভাইরাস বিলীন না হওয়া পর্যন্ত কোভিড-১৯ থাকবে এবং একের পর এক ঢেউ আসবে। আমরা যতো বেশি সর্তক থাকবো, স্বাস্থ্যবিধি মানবো, ঢেউ ততো বিলম্ব করবে। আর বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনলে সংক্রমণ আবার বাড়লেও মৃত্যুর হার কমবে।
[৫] বিশেষ করে ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি রোগের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত (কোমরবিডিটি) ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। তাই বয়ষ্কদের আগে টিকা দেওয়ার কাজটি করতে হবে। এছাড়া যেহেতু ১৮ বছরের নিচে আমাদের জনসংখ্যা অনেক বেশি তাই তাদেরকেউ টিকার আওতায় এনে একটা হার্ডইমিনিটি গড়ে তুলতে হবে। বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের কোরেন্টাইন ও আইসোলেশন ব্যবস্থায় কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না।
আপনার মতামত লিখুন :