আয়াছ রনি: [২] কক্সবাজারের পেকুয়ায় মগনামা ইউনিয়নের মটকাভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মৃত ছৈয়দ নুরের ছেলে রিদুয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক হয় উজানটিয়া ইউনিয়নের নতুন ঘোনা এলাকার বাসিন্দা নুরুল বশরের মেয়ে এনজিও কর্মী রুজিনা বেগম। রোজিনার বিয়ের খরর পেয়ে রিদুয়ান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রুজিনার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ কথা প্রচার শুরু করেন। এতে তা রোজিনা সহ্য না করতে পেরে সে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে প্রথম প্রেমিক আত্মহত্যা করেন।
[৩] সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মাস আগে তাদের প্রেমের সম্পর্ক বিচ্ছেদ হলে রুজিনা বেগম পেকুয়া সদর ইউপির নন্দীর পাড়ার বাসিন্দা মৃত ফজল করিমের ছেলে উজানটিয়া ইউনিয়নের গোধার পাড় এলাকার কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মকর্তা রেজাউলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। রেজাউল প্রেমের সূত্র ধরে তার প্রেমিকাকে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকরি দেন ওই কমিউনিটি ক্লিনিকে। প্রেমের সস্পর্ক ওই দুই পরিবার মেনে নিয়ে গত দুই সপ্তাহ আগে রেজাউলের সাথে রুজিনার বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়।
[৪] রেজাউলের সঙ্গে রুজিনার বিয়ের বিষয়টি মানতে না পারায় আগের প্রেমিক রিদুয়ান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রুজিনার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ কথা প্রচার শুরু করেন। তাতে ওই দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
[৫] এক পর্যায়ে রেজাউলের সঙ্গে রুজিনার বিয়ে ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়। বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে রাগে অপমানে আত্মহত্যা করেন প্রেমিকা রোজিনা। প্রেমিকা রোজিনার আত্মহত্যার খবর পেয়ে প্রথম প্রেমিক রিদুয়ানও করেন আত্মহত্যা।
[৬] শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিষাক্ত ট্যাবলেট (ইদুরের বিষ) খেয়ে আত্মহত্যা করেন রোজিনা বেগম (২০)। এই খবর পেয়ে ১০ মিনিট পরে একইভাবে আত্মহত্যা করেন রিদুয়ানুল হক (২২)।
[৭] রোজিনার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী।
[৮] স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহত রোজিনার স্বজনরা জানান, রোজিনা বেগমের সঙ্গে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা এলাকার রেজাউল করিম নামের এক যুবকের বিয়ে ঠিক হয়। এই ইস্যু ধরে বিয়ে করতে অপারগতা জানান রেজাউল। এতে রাগে অপমানে শুক্রবার সকালে রোজিনা বিষাক্ত ট্যাবলেট খায়। তাকে পেকুয়ার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
[৯] পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী চকরিয়া নিউজকে বলেন, লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :