সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু: আমাদের মিডিয়া চাইলে একটি বিষয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করতে পারে। বিষয়টি হচ্ছে, ১৯৭২ সাল থেকে ২০২১ সালের কুমিল্লার ঘটনাটি পর্যন্ত সারাদেশে কতোগুলো পূজামণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর, প্রতিমা ভাঙার ঘটনা ঘটেছে আর এই ভাঙচুর, হামলাকে কেন্দ্রে করে কতোগুলো সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটেছে। সব ঘটনা পাওয়া যাবে না, কিন্তু যেগুলোর ক্ষেত্রে মামলা, জিডি হয়েছে সেগুলোর হিসাব তো পাওয়া যাওয়ার কথা। কথা শেষ হয়নি। আসল কথাটায় আসি, এই অনুসন্ধানে যেটি সবচেয়ে সহজে পাওয়া যাবে এবং সবচেয়ে জরুরি বিষয় তা হলো গত ৪৯ বছরে এই বিষয়ে মোট কতোগুলো মামলা হয়েছে, আর সেসব মামলায় কয়জনের সাজা হয়েছে।
আমি বাজি ধরে বলতে পারি, ৯৯ ভাগ ক্ষেত্রেই প্রতিমা ভাঙচুর,পূজামণ্ডপে হামলার মামলাগুলো রায়ের তারিখের মুখই দেখতে পায়নি, শাস্তি তো দূরের কথা। এই ইস্যুতে সীমাহীন বিচারহীনতা, শাস্তি না হওয়ার কারণেই বারবার কুমিল্লা, রামু, নাসিরনগরের মতো ঘটনা ঘটে চলেছে। এসব ক্ষেত্রে দুটি চক্র মিলে অপকর্ম ঘটায়। কেন ঘটায়, সেটি আরেকটি বিশাল অধ্যায়। যা বলছিলাম, একটি চক্র মাঠে থেকে ঘটনা ঘটায় আর আরেকটি চক্র আড়ালে বসে ছক কাটে এবং যারা ঘটনা ঘটায় তাদের ছায়া দেয়, টাকা দেয়, রাজনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক সাপোর্ট দেয়। মাঠের চক্রটি মাঝে মধ্যে ধরা পড়ে, কিন্তু নেপথ্য চক্রের প্রভুরা থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে ধোয়া তুলসীপাতা, শুদ্ধ পুরুষ হয়ে। যতোদিন না এসব নেপথ্যের মাথাগুলোকে ধরতে না পারবেন ততোদিন মৌসুমী ‘তীব্র নিন্দা’র বিলাপ চলতেই থাকবে। Saifuddin Ahmed Nannu-র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।
আপনার মতামত লিখুন :