শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৪ অক্টোবর, ২০২১, ১২:৪২ দুপুর
আপডেট : ১৪ অক্টোবর, ২০২১, ১২:৪২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

Inovation Index-এ বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার তলানিতে

কামরুল হাসান মামুন, ফেসবুক থেকে, এবারও ১৩২ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান গতবারের জায়গা অর্থাৎ ১১৬তম স্থানেই আছে। যেখানে ভারত দুই ধাপ এগিয়ে বিশ্ব রেঙ্কিং-এ ৪৬ তম, শ্রীলংকা ৬ ধাপ এগিয়ে ৯৫তম, পাকিস্তান ৮ ধাপ এগিয়ে ৯৯তম আর নেপাল ১৬ স্পট সাজিয়ে ১১১তম। অর্থাৎ অন্যরা এগিয়েছে কিন্তু আমরা আগাইনি এবং যথারীতি দক্ষিণ এশিয়ায় সবার নিচে।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশের শিক্ষার মান ২.৮%, ভারত ও শ্রীলঙ্কার শিক্ষার মান যথাক্রমে ২০.৮% এবং পাকিস্তানের শিক্ষার মান ১১.৩%! আবার ২০২০ সালে CEOWORLD magazine-এর তৈরী পৃথিবীর সেরা এডুকেশন সিস্টেমের একটি ইনডেক্স প্রকাশ করে। সেই ইনডেক্সে ভারতের অবস্থান ৩৩, শ্রীলংকার অবস্থান ৭৭, পাকিস্তানের অবস্থান ৮৩, মায়ানমারের অবস্থান ৯২ আর আমার প্রাণের বাংলাদেশকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এছাড়া ওয়ার্ল্ড নলেজ ইনডেক্সে দক্ষিণ এশিয়ার তলানিতে বাংলাদেশ। আবার রিসার্চ ও ইনোভেশন ইন্ডেক্সেও দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ তলানিতে। অথচ আমাদের কি ভাব? আমরা নাকি উন্নয়নের মহাসড়কে। পৃথিবী নাকি অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখে আর আরো বেশি করে অবাক হয়। Bragging কাকে বলে বিশ্বকে আমরা দেখিয়ে দিচ্ছি!

তাছাড়া বাংলাদেশের কত মানুষ প্রতিদিন কেবল চিকিৎসার জন্য ভারত যান? শুধু চিকিৎসা বাবত বাংলাদেশ কত বৈদেশিক মুদ্রা হারাচ্ছে? বাংলাদেশে শিক্ষিত যোগ্য বাংলাদেশী না পাওয়ার কারণে কত ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে উচ্চ বেতনে চাকুরী করে? একমাত্র টয়লেট এবং শিশু ও মাতৃমৃত্য এইরকম দুইকেকটি ক্ষেত্রে নাকি আমরা এগিয়ে। এইসব এগিয়ে থাকার পেছনে কতটা সরকারের অবদান আর কতটা আমাদের এনজিওর অবদান সেইটাও ভেবে দেখবেন। বাংলাদেশের এনজিওদের অবদান সবচেয়ে বেশি হাইজাক হয়েছে।

হবে না কেন? যেই দেশে শিক্ষায় বাজেট বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ২.২%! যেখানে এইটা হওয়ার কথা ন্যূনতম জিডিপির ৫.৫%! তারপরও সবাই চুপ। শিক্ষায় অবহেলাই হলো সকল সমস্যার মূল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়