অনলাইন ডেস্ক: সন্তান ধারণ করতে না পারায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে জসভীর সিং নামের এক ব্যক্তি। গত সপ্তাহে দিল্লিতে নিজ বাড়িতে এক ঘটনা ঘটে। ঠান্ডা মাথায় হত্যার এ ঘটনা পুলিশের কাছে স্বীকারও করেছে সে।
ভারতী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে স্বীকারোক্তিতে জসভীর জানায়, 'ঘটনার দিন দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং স্ত্রী মেঘা আর্য বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ঘুমাতে যায়। মাঝরাতে জসভীর মেঘার রুমের সামনে গিয়ে দেখে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পরে সে দরজা ভেঙে স্ত্রীকে আক্রমণ করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।' কয়েক দফা বক্তব্য পরিবর্তনের পর দিল্লি পুলিশের কাছে টি এ বর্ণনা দেন।
জিজ্ঞাসাবাদে জসভীর আরও বলেন, তাঁর স্ত্রী মৃগী রোগে ভুগছিলেন। তিনি সন্তান নিতে পারছিলেন না। এ ছাড়া তার কষ্টে উপার্জিত অর্থ তাঁকে না জানিয়ে মা-বাবাকে পাঠাত। পরিবার পরিচালনার ক্ষেত্রেও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অনেক হস্তক্ষেপ করত। স্ত্রীর কটাক্ষে তিনি বিরক্ত ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন এ স্বামী।
হত্যার পরে স্ত্রীর পক্ষে একটি সুইসাইড নোটও লিখেছিলেন জসভীর। তবে হাতের লেখাটি তাঁর হওয়ায় ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় এটি পুড়িয়ে ফেলে। ফরেনসিক দল পোড়া নোটের চিহ্নও উদ্ধার করেছে।
প্রসঙ্গত, মেঘার মৃত্যুর পর জসভীর তাঁর শ্বশুরকে বলেছিল, বিছানা থেকে নিচে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে মেয়ের মুখে আঁচড় ও আঘাতের দাগ দেখে সন্দেহ হওয়ায় শ্বশুর পুলিশের কাছে তদন্ত চায়। এরপরই জসভীর সিংকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :