লিহান লিমা: [২] আফগানিস্তানের নারী ও কিশোরীদের অধিকার রক্ষার্থে দেয়া প্রতিশ্রুতি ভাঙ্গায় তালেবানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। এই সময় তিনি আফগানিস্তানকে অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করতে বিশ্বের দেশগুলো ত্রাণ দেয়ার আহ্বান জানান। সিএনএ
[৩] গুতেরেস বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী তালেবানের উচিত নারী এবং কিশোরীদের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা। জাতিসংঘ এ বিষয় নিয়ে তালেবানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তালেবানের প্রতিশ্রুতি ভাঙ্গা আফগানিস্তানের নারী এবং কিশোরীদের স্বপ্নকে ভেঙ্গে দিচ্ছে।
[৪] গুতেরেস জানান, ২০০১ সাল থেকে দেশটির ৩০ লাখ কিশোরী স্কুলে ভর্তি হয়, দেশটিতে কিশোরীদের শিক্ষার গড় বছর ৬ থেকে ১০ বছরে উত্তীর্ণ হয়। আফগানিস্তানের ৮০ভাগ অর্থনীতিই অনানুষ্ঠানিক। যেখানে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে। তাদের ছাড়া আফগান অর্থনীতি এবং সমাজ পুনরুদ্ধার করার কোনো উপায় নেই।
[৫] আফগানিস্তানের অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো এই সময় তুলে ধরেন গুতেরেস। তিনি বলেন, বিদেশে থাকা এই দেশটির সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। সেখানে উন্নয়নমূলক ত্রাণ দেয়া স্থগিত করা হয়েছে। দেশটির অর্থনীতিতে প্রাণ ফেরাতে আমাদের উপায় খুঁজতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন না করলে এবং বিধি-বিধান মেনে চললে এটি করা সম্ভব। আমি বিশ্বকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং আফগানিস্তানের অর্থনীতিকে ধসে পড়া থেকে রক্ষা করতে তারল্য আনার আহ্বান করছি।
[৬] জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের মতে, আন্তর্জাতিক তহবিল বা অবরুদ্ধ আফগানিস্তানের অর্থ ইউএন এজেন্সি এবং বেসরকারী সংস্থাগুলোকে প্রদান করা সম্ভব যা দিয়ে আফগানদের বেতন দেয়া হবে। এই অনুশীলন, যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদিত ব্যাংক ছাড়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং এটি ইতোমধ্যে ইয়েমেনসহ অন্যান্য দেশে অতীতে ব্যবহার করা হয়েছে।
[৭] গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, আফগানিস্তানকে মানবিক সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় খুব ধীরগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশটির প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ (মোট জনসংখ্যার অর্ধেক ) মানবিক এবং অর্থনৈতিক সংকটে পতিত হয়েছে।
[৮] তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত তালেবানের কোনো বাধা ছাড়াই দেশটির বিভিন্ন স্থানে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা ও নিরাপত্তা সহায়তাও নেয়া হয়েছে। গুতেরেস বলেন, মানবিক কার্যক্রমের সময় হামলার ঘটনা ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :