কামরুল হাসান মামুন, ফেসবুক থেকে, যারা অষ্টম শ্রেণী পাশ করবে তাদের সবার জন্য মূল ধারার নবম ও দশম শ্রেণী না। যারা এসএসসি পাশ করবে তাদের সবার জন্য মূল ধারার এইচএসসি না। যারা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করবে তাদের সবার জন্য অনার্স না। যারা অনার্স করবে তাদের সবার জন্য মাস্টার্স না। যারা মাস্টার্স পাশ করবে তাদের সবার জন্য পিএইচডি না। অর্থাৎ পড়াশুনাকে ডাইভার্সিফায় করতে হবে। কারিগরি, ভকেশনাল, ডিগ্রী পাস কোর্স, প্রিলিমিনারি কোর্স, ডিপ্লোমা কোর্স ইত্যাদি কোর্সকে শক্তিশালী করতে হবে। লেখাপড়ার প্রতিটা ক্ষেত্রে ফিল্টারিং ব্যবস্থা থাকতে হবে।
আমাদের দেশে আগে ৩ বছরের অনার্স ও ১ বছরের মাস্টার্স ছিল। যখন ৪ বছরের অনার্স করা হলো তখন কিন্তু কথা ছিল মাস্টার্স শুধু তাদের জন্য যারা একাডেমিয়ায় থাকবে। সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেয় অনার্স পড়ার জন্য। মাস্টার্সে ভর্তির জন্য নয়। সকলের মাস্টার্স পড়া সময় এবং অর্থের অপচয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক সংকটের এইটাও একটা কারণ।
তাছাড়া অটোমেটিক মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার কারণে অনার্সে ভালো করার তাড়না অনুভব করে না এবং এর ভ্যালু বুঝে না। তা না করে আবার ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে লিমিটেড ছাত্র ভর্তি করলে আগে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়নি তাদের জন্যও দ্বিতীয়বার আরেকটি সুযোগ আসতো। এর মাধ্যমে যে যেখানেই পড়াশুনা করুক না কেন জানতো অনার্সে ভালো করলে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করতে পারবে না। ফিল্টারিং প্রসেস ছাড়া কোন সিস্টেম ভালো করবে না।
আপনার মতামত লিখুন :