সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা: সরকার কোনো চ্যানেলই বন্ধ করেনি। ২০০৬ সালের ক্যাবল টিভি আইনে একটি ধারায় বলা আছে যেসব বিদেশি চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক হবে সেসব চ্যানেলে কোনো বিজ্ঞাপন থাকতে পারবে না। আইনটি কার্যকর করা হলো ২০২১ সালে, পনেরো বছর পর। আমাদের দেশে যেসব বিদেশি চ্যানেল দেখা যায় সেগুলোর অধিকাংশ পে- চ্যানেল তথা পে- পার ভিউ চ্যানেল। এসব পে- চ্যানেল বিপণন করে স্থানীয় পরিবেশকরা। তারা যখন পরিবেশনার চুক্তি করেন তখন তারা ব্রডকাস্টারদের অবগত করেননি দেশীয় আইনে ক্লিন ফিড ছাড়া চ্যানেল ডাউনলিংক করা যাবে না। বিস্ময়কর হলো পরিবেশকরা আইনের ধারাটিকে গুরুত্ব না দিয়ে বিজ্ঞাপনসহ বিদেশি চ্যানেল বিপণন করেছেন বিগত দুই দশক ধরে।
সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় চোখ বুঁজে থেকেছে। অবশেষে সরকার ধারাটিকে কার্যকর করার উদ্যোগ নিলো এখন। ১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে ক্যাবল টিভি ও ডিটিএইচ প্লাটফর্মে বিদেশি চ্যানেল নেই। একমাস আগেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নোটিশ করেছিলো, এই এক মাসে পরিবেশকরা ক্লিন ফিডের ব্যবস্থা করলো না। নেপাল, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা এসব দেশে যদি ক্লিন ফিডে চ্যানেলের ফুটপ্রিন্ট থাকতে পারে তাহলে বাংলাদেশে কেন নয়? পে পার ভিউ চ্যানেল মানে দর্শকরা দেখার জন্য পে- করবে। পণ্যটি ক্রেতা কিনবেন কি কিনবেন না সেটা সম্পূর্ণ ক্রেতা অধিকার। আইনকে তোয়াক্কা না করে জিনিস বা সেবা ক্রয়ে ক্রেতাকে প্রলুব্ধ করাও অপরাধ। মুক্ত গণমধ্যম প্রশ্নে অনেকেই বলতে পারেন সরকার গণমাধ্যমকে পরোক্ষভাবে বন্ধ করতে চাচ্ছেন, আমি একজন নাগরিক হিসেবে এই মতের সমর্থক নই। সরকারতো চ্যানেল নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছেন না, চাচ্ছে শুধু বিদেশি চ্যানেল থাকুক বিজ্ঞাপনবিহীন এবং সেটি প্রচলিত আইন মেনে। দেশীয় শিল্পের বিকাশেওতো এটি জরুরি। আইন না মানার সংস্কৃতি চলে আসছে যুগ যুগ ধরে আর এটিই জটিলতার সৃষ্টি করেছে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :