শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার ◈ বড়াইগ্রামে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে দুই পরীক্ষার্থী ফেল! ◈ টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ◈ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ তলিয়ে দেখা দরকার: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশিত : ১০ অক্টোবর, ২০২১, ১১:২৮ দুপুর
আপডেট : ১০ অক্টোবর, ২০২১, ১১:২৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মার্কেট ম্যানিপুলেটররা কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করছে শেয়ারবাজারে : ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ

আমিরুল ইসলাম : এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মজিদ বলেন, শেয়ারবাজারের বর্তমান অবস্থা ভালো। কিন্তু কোন ধরনের শেয়ারের দাম বাড়ছে, কোন কোম্পানি? কোম্পানির ব্যবসা মন্দা, বেচাকেনা নেই অথবা দেখা যাচ্ছে যে তার শেয়ারের দাম হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে। কীভাবে? শেয়ারের দাম বাড়ার তো যৌক্তিক কারণ থাকতে হবে। তার ব্যবসার পরিস্থিতির সঙ্গে কোনো মিল নেই, অথচ দাম বাড়ছে। তার মানে মার্কেট ম্যানুপুলেটাররা কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করছে। নিজেরা দাম বাড়িয়ে তারপর অন্যদের প্রলুব্ধ করে। হঠাৎ করে দেখা যায় দাম পড়ে যায় এবং নতুন বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যারা এই বিষয়গুলো দেখবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে তারা নিজেরাই এর সঙ্গে জড়িত

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরো বলেন, করোনা মহামারির সময় মানুষের ই-কমার্সের ওপর নির্ভর হতেই হয়েছিলো। কারণ মানুষ তখন ঘর থেকে বের হতে পারছিলো না। অনেকেই মানুষের এই অপারগতার সুযোগ নিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেকে পণ্যের দাম নিয়ে পণ্য দেয়নি। বাজারে যদি সততা না থাকে, প্রতারণার মনোভাব যদি থাকে তাহলে সেখানে ই-কর্মাস ভালোভাবে চলবে না। কারণ এটা বিশ^াসের ওপর চলে। মানুষ বিশ^াস করে পণ্যের অর্ডার দেয়। ষাঁড় গরু দেখিয়ে গাভী দিলে এবং পেছন পেছন ঘোরাতে থাকলে গ্রাহকের বিশ^াস ও আস্থা জন্ম নেবে না। অনেক মানুষ এখানে বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ক্লিন ফিডের আইন করা হয়েছে ২০০৬ সালে। ২০২১ সালে এই নিয়ে কথা বলা হচ্ছে এবং সবাই যেন আকাশ থেকে পড়েছে। ওই রেগুলেটর ২০০৬ সালে আইন যখন পাস হলো তখন কেন সেটা বাস্তবায়ন করেনি? এর মধ্যে ডিশ ব্যবসা যারা করে তারা ইতোমধ্যে এতো অর্থ ও শক্তি সঞ্চয় করেছে যে তারা এখন বলার সাহস পাচ্ছে ডিশ লাইন বন্ধ করে দেওয়ার। অনেকটা থ্রেটের মতো। তারা বিনিয়োগ ও ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা বলছে। কিন্তু আমার দেশের বাণিজ্যিক স্বার্থ দেখছে না। পৃথিবীর বহু দেশে এই আইন আছে। এমনকি পাশের প্রতিবেশী দেশও এই আইন করে চলছে। আর তাদের বেলায় এখানে কিছু বলা যাবে না। চৌর্যবৃত্তি ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে বলে তারা কথা বলছে! মূল্যবোধ আমাদের এখানে এরকম পর্যায়ে চলে গেছে। চোরকে প্রথম থেকে নিষেধ করা হলে এমনটা হতো না। ক্লিন ফিড বলতে কী বোঝায়? এই আইনে কী আছে এবং কেন প্রয়োগ করতে যাচ্ছে। জনগণ না জানলে সমর্থন দেবে কী করে? বাজারব্যবস্থায় বিদ্যমান আইনের প্রয়োগ ও মনিটরিং করা হলে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানা যাবে এবং ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীরা প্রতারণরা ফাঁদ থেকে বাঁচতে পারবে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়