শাহীন খন্দকার: [২] জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদে আজ অথবা আগামীকাল নিয়োগ হতে পারে। ইতিমধ্যে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেছেন। সবাই মহাসচিব পদে নিয়োগের ভার তার ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
[৩] দলীয় একাধিক সুত্রের দাবি দলটির সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে জানিয়েছেন তিনি জাতীয় পার্টিতে মহাসচিব পদে ছিলেন। তিনি এই পদে আগ্রহী নন। কাজী ফিরোজ রশিদও মহাসচিব পদে যেতে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করেননি। কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘আমি কখনও কারও কাছে কিছু চাইনি। এছাড়া আমার অনেক কাজ।’
[৪] দলীয় সুত্রে আরো জানা যায়, সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে দলের মহাসচিব করার ব্যাপারে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের বনানী পার্টি অফিসে বসে নেতাকর্মীদের বলেছেন, ‘এ বি এম রুহুল আমিনকে মহাসচিব পদ থেকে বাদ দিয়ে মসিউর রহমান রাঙ্গাকে মহাসচিব করা হয়েছিল। তখন সব কাজ আমাকেই করতে হয়েছে। পরে জিয়াউদ্দিন বাবলুকে এই পদে নিয়োগ দেওয়ার পর বাবলু আর কিছু করুক বা না করুক প্রতিদিন পার্টি অফিসে আসতেন।
[৫] তিনি আরও বলেন, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার মহাসচিব পদের জন্য যোগ্য। এই পদে যে দায়িত্ব পাবে তাকে অর্থ ব্যয় করতে হবে। দলের জন্য কাজ করতে হবে। মসিউর রহমান রাঙ্গা সময় দেননি, কাজ করেননি। অর্থ ব্যয় করেননি। ফলে ওই সময় আমাকে সব করতে হয়েছে। মহাসচিব পদে নিযোগ দেওয়ার বিষয় নিয়ে একটি গুঞ্জন ছড়িয়ে দিয়ে সবার মনোভাব বুঝলাম। সারা দেশের জেলাপর্যায়ে কথা বলেছি। তারা এ বি এম রুহুল আমিনকে চায়। এখন আমাকে ভেবেচিন্তে দলের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে পদক্ষেপ নিতে হবে।
[৬] ’অপরদিকে দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলেছে,দলের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ইতিমধ্যেই দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে মহাসচিব পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করেছেন। সব মিলিয়ে এ বি এম রুহুল আমিন হওলাদার অথবা মুজিবুল হক চুন্নু এমপি মহাসচিব পদে নিয়োগ পেতে পারেন।’