নুরনবী সরকার: [২] লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় আলোচিত কৃষক আব্দুল মালেক হত্যাকাণ্ডের মূল হোতার তার ভাতিজা সোহেল রানা (১৯)।
[৩] শুক্রবার (০৮ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশের কাছে আটকের পর ওই হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন সোহেল রানা। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুরিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
[৪] হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, ওই উপজেলার দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিজ বাড়ীর সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় ওই এলাকার আব্দুল বারেকের পুত্র আব্দুল মালেক (৪২)। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আব্দুল মালেকের পরিবারের অভিযোগ, পাশ্ববর্তী একটি পরিবারের সাথে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে তারাই এ হত্যাকাণ্ডে সাথে জড়িত।
[৫] মালেকের ছোট ভাই আব্দুল খালেকের পুত্র সোহেল রানা সাংবাদিকদের কাছে সেই দিন দাবী করেন, তার জেঠা হতাকান্ডের সাথে পাশ্বর্বতী একটি পরিবার জড়িত। কিন্তু ঘটনার ১১ দিন পর শুক্রবার দুপুরে সন্দেহ থেকে সেই সোহেল রানাকে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ওই হত্যাকান্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন সোহেল রানা।
[৬] মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতীবান্ধা থানার উপ পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, সোহেলের শারীরিক একটি সমস্যা নিয়ে তার জেঠা আব্দুল মালেক প্রায় সময় উপহাস করত। সেই ক্ষোভ থেকে তার জেঠাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সোহেল রানা। পরে বাজার থেকে একটি হাতুরী ক্রয় করে বাড়ির সামনে বসে থাকা জেঠার মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। কয়েকদিন পর হত্যকান্ডে ব্যবহৃত হাতুরীটি পাশে একটি ডোবায় ফেলে দেয়। শুক্রবার বিকালে ওই ডোবা থেকে সেই হাতুরী উদ্ধার করা হয়েছে।
[৭] হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ হত্যাকান্ডে মুল হোতা সোহেল রানাকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হাতুরীও উদ্ধার করা হয়েছে। কি কারণে তার জেঠাকে হত্যা করলো তা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :