আয়াছ রনি: [২] রোহিঙ্গাদের কয়েকটি সূত্র দাবি করছে, শরণার্থী ক্যাম্পের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার পর কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন ক্যাম্পে অন্তত পাঁচটি গোপন বৈঠক করেছে সন্ত্রাসীরা। শরণার্থী ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতায় সন্ত্রাসীদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
[৩] সূত্র আরো জানায়, হত্যার ঘটনার আগে খুনিরা কুতুপালং পাহাড়ি এলাকায় গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিল। পরে অস্ত্রধারীদের সক্ষমতা যাচাইয়ে রেকি করা হয়। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিল সন্ত্রাসী সিরাজ, সৈয়দ আলম, নুর সাবা, রফিক, খায়রুল আমিনস অনেকে। হত্যার পর থেকে সবাই আত্মগোপনে চলে গেছে।
[৪] আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক কর্মকর্তা জানান, শরণার্থী শিবিরে প্রতিটি ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের ওপর নজরদারি রয়েছে। ক্যাম্পে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সিভিল পোশাকে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কাজ করছে।
[৫] এপিবিএন-১৪ এর অধিনায়ক এসপি নাইমুল হক বলেন, গোপন বৈঠকের তথ্য আমাদের কাছেও রয়েছে। বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিল তাদের তালিকাও রয়েছে। সে অনুযায়ী তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
[৬] কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য দিয়েছে। তবে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার ও মামলার তদন্তের স্বার্থে এখনই এসব বিষয়ে খোলাসা করা যাচ্ছে না।তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ক্যাম্পের কিছু কিছু এলাকায় চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।