অপূর্ব চৌধুরী: [২] সশরীরে বিভিন্ন বিভাগের সেমিস্টার পরীক্ষার মধ্য দিয়ে দেড় বছরেরও বেশি সময় পর খুলেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। এতে করে ৫৬৮দিন পর আবারো শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছে দেশের অন্যতম সেরা এই বিদ্যাপীঠ। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীদের আনন্দ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে। তবে দীর্ঘ বিরতিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেশনজটের শংকাও কাজ করছে।
[৩] সকাল আটটার মধ্যেই ক্যাম্পাসে আসেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের উপস্থিতিতে ক্যাম্পাসে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরী হয়। এরপর ক্লাস রুমে ঢোকার সময় ফুল দিয়ে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের বরণ করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ, প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালসহ বিভিন্ন শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখেন।
[৪] তবে প্রথমদিনে সবাই ছিলেন স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সচেতন। শিক্ষার্থীদেরকে মুখে মাস্কসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা গেছে।
[৫] বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরীক্ষা দিতে আসা গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ ইকবাল বলেন, প্রথমবারের মতো পরীক্ষা দিলাম। খুবই ভালো লাগছে। আমরা ভর্তি হওয়ার পর করোনায় সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। দেড় বছর বাসায় ছিলাম। বন্ধুদের সাথে দেখা হতো না। আজ পরীক্ষা দিতে এসে বন্ধুদের সাথে দেখা হয়ে ভালো লাগছে।
[৬] এদিকে সকালে ক্যাম্পাসে মাস্ক, কলমসহ শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করতে দেখা যায় জবি শাখা ছাত্রলীগকে। এসময় জবি ছাত্রলীগের সম্মেলন কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম টিটন, যুগ্ম আহ্বয়ক জামাল উদ্দিন, সৈয়দ শাকিল, ইব্রাহিম ফরাজি, সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ শাহীন, আল আমিনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন। পরে তারা ক্যাম্পাসে স্লোগান দিয়ে শোডাউন দেন।
[৭] আশরাফুল ইসলাম টিটন বলেন, দেড় বছর পর পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জবি ছাত্রলীগ করোনার সময়ও বসে থাকেনি। শিক্ষার্থীদের বাসা সংকট, অসহায় শিক্ষার্থীদের সহায়তা করাসহ ক্যাম্পাসের বাইরে অসহায় মানুষদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে। ক্যাম্পাস খুলে দিল। আশা করছি দ্রুতই জবির কমিটি দিবেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
[৮] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আজ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষা-কার্যক্রম স্বাভাবিক হলো। আমরা আজ ক্যাম্পাস ঘুরে স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা দিয়েছি। আশা করছি শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্পাসে আসবে।
[৯] সেজনজট কমানোর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.চঞ্চল কুমার বোস বলেন, সেশনজট করোনার জন্য করোনার ভিতর স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা হচ্ছে। পরীক্ষা হোক তারপর আমরা সেজনজট দ্রুত কিভাবে কমানো যায় সে বিষয়ে আরও সিদ্ধান্ত নিব।
আপনার মতামত লিখুন :