আনোয়ার হোসেন: [২] ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে এক গৃহবধূকে হত্যার পর স্বামী থানায় আত্মসমর্পণ করে হত্যার দায় স্বীকার করেন।
[৩] বুধবার (৬ অক্টোবর) ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের নাড়াদিঘী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
[৪] মৃত গৃহবধূর না রুখসানা বেগম (৫৫)। স্বামী হবিবুর রহমান (৬০) উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের নাড়াদিঘী গ্রামের মৃত আছিরউদ্দীনের ছেলে। তাঁদের ৩ মেয়ে ২ ছেলে রয়েছে। ২ মেয়ের বিয়ে হয়। ১ম মেয়ে দিনাজপুর হাজী দানেশ কলেজে অধ্যায়রত। ২য় ছেলে চাকরির সুবাধে ঢাকায় থাকেন।
[৫] বিষয়টি মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেছেন হোসেনগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুব আলম।
[৬] হবিবর রহমানকে পুলিশ আটক করে রুখসানা বেগমের লাশ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
[৭] পারিবারিক ও থানা সূত্রে জানা যায়, ফজরের নামাজের সময় স্ত্রী রুখসানাকে ঘুম থেকে জাগালে, স্বামী- স্ত্রীর মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় স্বামী শাবল দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের ফলে রুখসানার মৃত্যু হয়।
[৮] এর দেড় ঘণ্টা পর তিনি থানায় গিয়ে হাজির হন। পুলিশকে বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে হত্যা করেছি, আপনারা তাঁর লাশ উদ্ধার করেন।’ তখন পুলিশ তাঁকে আটক করে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে একটি কক্ষে খাটের ওপর ওই গৃহবধূর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
[৯] রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল বলেন, কী কারণে হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়। ওই গৃহবধূর স্বামী দাবি করেছেন নামাজ পরার কথা বলা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি মাথায় সাবল দিয়ে আঘাত করেন। এতেই গৃহবধূ রুখসানা মারা যায়। তদন্ত করে হত্যার প্রকৃত কারণ বের করা হবে। এবিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :