শিমুল মাহমুদ: [২] দেশের মোট জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ মানুষকে দেওয়া হয়েছে করোনা টিকার প্রথম ডোজ। দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন ৯ শতাংশ। টিকা নেওয়ার পর শরীরে কি পরিমান অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তা জানার কোনো সুযোগ নেই। কারণ দেশে গবেষণা ছাড়া অ্যান্টিবডি জানার অনুমতি নেই।
[৩] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, প্রত্যোকটা লোকের আলাদা আলাদা যে প্রতিরোধ ক্ষমতা সেটা থেকে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে কারো ৬৫-৭০ -৮০ শতাংশ হলো, তখন দেখা যাবে সবার মাঝে একটা সংশয় তৈরি হবে। সবাই মনে করবে টিকাটা বোধহয় ভালো ছিলো না। এ ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি টেস্ট শুধুমাত্র গবেষণার কাজে ব্যবহার করাই ভালো। এটাকে সব জায়গায় উন্মুক্ত করে দেওয়া বোধহয় ঠিক হবে না। তবে বিশেষজ্ঞরা পরার্মশ দিলে বিবেচনা করা হবে।
[৪] কোভিড ১৯ পরামর্শ কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের হার্ড ইমিউনিটি হতে আর কত মানুষের ইমিউনিটির দরকার হবে, সেটা হিসাব করতে অ্যান্টিবডি পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। যদি ৬০ শতাংশ মানুষের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায় তাহলে আরও ২০ থেকে ২৫ শতাংশ মানুষের অ্যান্টিবডি তৈরি করতে হবে। কিন্তু এখনও যদি কিছুই না জানি, তাহলে আমরা কোথায় আছি-সেটাই তো বোঝা যাবে না। সরকারের উচিত এখন ব্যক্তিপর্যায়ে অ্যান্টিবডি পরীক্ষার অনুমোদন দেওয়া।
[৫] চিকিৎসাবিজ্ঞানী অধ্যাপক লিয়াকত আলী বলেন, অ্যান্টিবডি যদি সঠিকভাবে মাপা না হয় তাহলে বলা যাবে না এটা টিকার কারণে না ন্যাচারাল। দুটি মিক্স হলে এটা সঠিকভাবে জানার সুযোগ নেই। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :