লিহান লিমা: [২] ফেসবুকের সাবেক প্রোডাক্ট ম্যানেজার ফ্রান্সেস হাউজেন মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে কোম্পানির তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এর সাইট এবং অ্যাপগুলি শিশুদের ক্ষতি করে, বিভাজন সৃষ্টি করে এবং আমাদের গণতন্ত্রকে দুর্বল করে।’ বিবিসি
[৩] তিনি দাবী করেন, ‘সম্প্রতি মিয়ানমার ও ইথিওপিয়ায় রক্তক্ষয়ী সহিংসতায় ফেসবুকের প্লাটফর্ম ব্যবহার করা হয়েছে। মিয়ানমার ও ইথিওপিয়ায় আমরা যা দেখছি তা কেবল সূচনা। এই ভয়ঙ্কর গল্পের সমাপ্তি কেউ দেখতে চায় না।’ এর আগে ফেসবুক স্বীকার করেছিলো ২০১৮ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ঘৃণাত্মক পোস্ট সামলাতে ব্যর্থ হয়েছিলো তারা। তিনি দাবী করেন বিশ্বব্যাপী কর্তৃত্ববাদী এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠির নেতারা ফেসবুক ব্যবহার করে যে কর্মকাণ্ড চালায় সে বিষয়ে ফেসবুক সচেতনভাবেই অবগত। তারা জানে কিভাবে চীন এবং ইরান গুপ্তচরবৃত্তি চালায়। সিএনএন
[৪] হাউজেন সিবিএস নিউজকে বলেন, সম্প্রতি তিনি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সঙ্গে ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ কিছু নথি ভাগ করেছেন। ডকুমেন্টগুলো ব্যবহার করে ডব্লিউএসজে জানিয়েছে ইনস্টাগ্রাম মেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। তিনি আরো বলেন, কোম্পানি জানে কিভাবে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামকে নিরাপদ রাখতে হবে কিন্তু তারা সেটি করবে না কারণ তারা মুনাফাকেই অগ্রাধিকার দেয়।
[৪] তিনি মার্ক জাকারবার্গের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণের সমালোচনা করে বলেন, ‘মার্ককে জবাবদিহিতার আওতায় আনার কেউ নেই। তবে মার্কিন কংগ্রেসের রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেট উভয় দলের সিনেটররাই ফেসবুকের পদ্ধতিগত পরিবর্তনের বিষয়ে একমত হয়েছেন। যা দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাসে বিরল।
[৫] সম্প্রতি ফেসবুক তার নিয়ম-নীতি যাচাই-বাছাই করার জন্য ব্যাপক আহ্বানের সম্মুখীন হচ্ছে। প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, ফেসবুকের ওপর মিথ্যে অপবাদ দেয়া হচ্ছে। আমরা নিরাপত্তা, সুস্থতা এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যত্নশীল। কর্মীদের উদ্দেশ্যে এক চিঠিতে তিনি বলেন, কিছু দাবীর কোনো অর্থ নেই। তিনি তাদের ক্ষতিকর বিষয়বস্তু মোকাবেলা, স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং কোম্পানির অধীনে গবেষণা কর্মসূচী অব্যাহত রাখতে আহ্বান জানান।
[৬] বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম সাইট ফেসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৭০ কোটি। এছাড়া কয়েক কোটি মানুষ কোম্পানির হোয়াটঅ্যাপ এবং ইনস্ট্রাগ্রাম ব্যবহার করেন।