শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০৫ অক্টোবর, ২০২১, ০৫:৫০ বিকাল
আপডেট : ০৫ অক্টোবর, ২০২১, ০৫:৫০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মানুষের কল্যাণে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ বাহিনী: আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ

জহিরুল ইসলাম: সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এবং দেশের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তায় মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। ধর্মীয় সঠিক শিক্ষা পেলে কখনো কোন মানুষ গোমরাহীর দিকে যেতে পারেনা। আমাদের দেশে ধর্মীয় শিক্ষার নামে শুধু আলিফ বা তা শিখানো হয়। ধর্মীয় শিক্ষা মানে শুধু আরবী শিক্ষা না, সবাইকে বাংলা, আরবী ও ইংরেজী শিক্ষা দিতে হবে। তাহলে শিশুরা সঠিক শিক্ষা পাবে, তাদের মধ্যে গোমরাহী তৈরী হবেনা।

পুলিশ যে শুধু আইশৃংঙ্খলার কাজ করে তা-না পুলিশ বাহিনী সমাজের মানুষের জন্য মাববিক নানা কাজ করে থাকে সেটির বড় উদাহারণ হচ্ছে নদী ভাঙা মানুষের জন্য আজকের এই কবরস্থান তৈরী করা। এই স্থানে হইতো অনেক অর্থশালী লোক রয়েছেন, কিন্তু কেউ এই কাজে এগিয়ে আসেননি এক মাত্র পুলিশের লোকজনই মাববিক কাজে এগিয়ে এসেছে।

পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে লক্ষীপুরে নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া ২ হাজার পরিবারের জন্য নির্মিত কবরস্থান ও মসজিদের নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর পুনাক সভা নেত্রীর বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হয়। মাববিকদিক বিবেচনা করে মেঘনা নদীর ভাঙনের শিকার দুই হাজার পরিবারের জন্য করবস্থান তৈরীর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। জেলা পুলিশের মাধ্যমে সাড়ে ২৯ শতাংশ জমি ক্রয়করে সেখানে সীমানা প্রাচীর তুলে কবরস্থান ও মসজিদ নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া গভীর নলকূপ, মরদেহ ধোয়ার ঘর ও শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। তাদের ও স্থানীয়দের জন্য আজকে এটি উন্মক্ত করে দেওয়া হলো।

আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞাময় নেতৃত্ব ও দুর্দান্ত সাহসের ফলে বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় আমরা ২০৪১ সালে উন্নত দেশের উপযোগী করে পুলিশ বাহীনি গড়তে কাজ শুরু করছি। গত বছর আমরা সরকারের নির্দেশনায় ঐক্যবদ্ধভাবে করোনাকে মোকাবিলা করেছি, চলতি বছরেও আমরা একই ভাবে করোনার মোকাবিলা করতে কাজ করছি। আমি বলতে পারি, পশ্চিমা বিশ্বে করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খেয়েছে, কিন্তু আমাদের দেশে আধুনিক সব রিসোর্স না থাকা সত্ত্বেও সরকারের নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলা করতে পেরেছি, সেটা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছে। মানবিক পুলিশ বাহিনী করোনা কালে অসহায় মানুষের কল্যাণে নিরলস ভাবে কাজ করে গেছে। সমাজের বিত্তবানদের সহায়তায় অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ বাহিনী।

আইজিপি আরও বলেন, ভালো কাজের উৎস্য চাই। সাংবাদিকদের একটি লেখার মাধ্যমে একটি সমাজ ও দেশের পরিবর্তন হতে পারে। তার উদাহরণ হচ্ছে আজকের এই কবরস্থান তৈরী কাজ। সাংবাদিকদের লিখনির মাধ্যমে এই বিষয়টি আমাদের নজরে আসে তার পর আমরা এই কাজের উদ্যোহ গ্রহণ করি। আপনারা যখন একটি জিনিস ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে দেখান, তখন বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ এটি দেখে, বাংলাদেশের বাহিরেও প্রচুর মানুষ এটি দেখেন। যখন আপনারা লিখেন তখন কোটি কোটি মানুষ তা পড়ে।

সাংবাদিকরা কোটি কোটি মানুষকে মোটিভেটেড করতে পারে আপনি ওপেনিয়ন বিল্ডার, ওপেনিয়ন বিল্ড করা অনেক কঠিন কাজ। সবাই তা করতে পারেন না। সাংবাদিকরা ওপেনিয়ন বিল্ড করেন। যেহেতু আপনারা ওপেনিয়ন বিল্ডার মুহূর্তের মধ্যে কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে প্রবেশ করতে পারেন, সেজন্য আপনাদের কলমের যে শক্তি সে শক্তি সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন থাকবেন এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।

লক্ষীপুরের পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুনাকের সভানেত্রী জীশান মীর্জা, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশের সদর দপ্তর এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

প্রসঙ্গত, মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ভিটে-মাটি হারানো অন্তত দুই হাজার পরিবার এখন রামগতি-লক্ষীপুর সড়কের ওপর বসবাস করছেন। সড়কের পাশে ঘর তুলে বসবাস করতে পারলেও তাদের অন্যান্য মৌলিক চাাহিদা রয়ে গেছে ধরা ছোয়ার বাহিরে। এতে পরিবারের কোনো সদস্য মারা গেলেই তাকে দাফন করা নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় তাদের। নিজস্ব কোনো জায়গা বা কবরস্থান না থাকায় বাধ্য হয়েই যেখানে-সেখানে করতে হয় মরদেহ দাফন। এ ছাড়া মসজিদ না থাকায় অনেক দূরে গিয়ে অথবা ঘরে আদায় করতে হতো নামাজ। নদী ভাঙা এসব মানুষে কথা চিন্তা করে পুলিশের আইজিপির উদ্যোগে জেলা পুলিশ সর্বহারা মানুষগুলোর জন্য কবরস্থান ও মসজিদ নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়