মাসুদ মিয়া: [২] দেশের শেয়ারবাজার টানা ৫ কার্যদিবস সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর সোমবার সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে পাশাপশি সূচক কমেছে তবে লেনদেন বেড়েছে। এদিন ব্যাংক-বিমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় সব খাতের শেয়ারের দাম কমেছে।
[৩] টনা ৫ কার্যদিবস পর শেয়ারবাজারে দরপতনকে বাজার সংশ্লিষ্টরা মুল্য সংশোধন হিসাবে দেখছেন। তারা মনে করেন, টানা বৃদ্ধি ভালো না আবার টানা কমাও শেয়ারবাজারের জন্য ভালো না। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন ২৭০০ কোটি টাকার উপরে হয়েছে।
[৪] এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে প্রথম মিনিটেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৫০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। শুরুতে দেখা দেওয়া ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের প্রথম তিন ঘণ্টা অব্যাহত থাকে। তবে, দুপুর ১টার পর থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। ফলে নিচের দিকে নামতে থাকে সূচক। দেখতে দেখতে সূচকের বড় উত্থান পতনে রূপ নেয়।
[৫] দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৮ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ৩২৭ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইর শরিয়াহ্ দশমিক ২২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৯৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৭৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
[৬] দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৪৮টির শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৯৭টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির প্রতিষ্ঠানের দাম।
[৭] বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭৫৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২ হাজার ৪৩৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা। সেই হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৩১৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। টাকার অংকে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৭৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের ১৭৪ কোটি ১২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১০৫ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা।
[৮] এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বেক্সিমকো ফার্মা, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, ইফাদ অটোস, জিপিএইচ ইস্পাত, শাহিন পুকুর সিরামিক ও পাওয়ার গ্রিড।
[৯] অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১১৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩২২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩৮টির এবং ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও
আপনার মতামত লিখুন :