খালিদ আহমেদ: [২] বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, যেসব মুঠোফোন শেষ পর্যন্ত নিবন্ধন পাবে না, সেগুলো ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
[৩] তিন মাস পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর পর গত শুক্রবার (১ জুলাই) থেকে অবৈধ মুঠোফোন শনাক্তের ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। ওই দিনের আগপর্যন্ত নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়া সব ফোন ব্যবহার করতে পারছেন গ্রাহক। এ ক্ষেত্রে বৈধঅবৈধ বিবেচনা করা হচ্ছে না। তবে নতুন করে কোনো অবৈধ মুঠোফোন নেটওয়ার্কে যুক্ত হলে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে বিটিআরসি জানিয়েছে।
[৪] এদিকে বিটিআরসির পক্ষ থেকে আজ সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন বিপণিবিতানে গিয়ে অবৈধ মুঠোফোন বিক্রি না করার বিষয়ে প্রচারণা চালায়। কর্মকর্তারা ঢাকার মোতালিব প্লাজা, বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ও সীমান্ত স্কয়ারে গিয়ে বিক্রেতাদের জানিয়ে দেন যে অবৈধ মুঠোফোন বিক্রি করলে তা ফেরত দিতে হবে। বিটিআরসি সূত্র বলছে, তাদের কাছে তথ্য আছে যে এরপরও জেনে–শুনে কেউ কেউ কম দামে পেয়ে অবৈধ মুঠোফোন কিনছে। তাঁরা মনে করছে এগুলো একবার চালু হলে বন্ধ হবে না। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। বন্ধ হবে।
[৫] বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, গ্রাহকের উচিত যাচাই বাছাই করে মুঠোফোন কেনা।
[৬] বিটিআরসি সূত্র জানায়, তিন দিনে নেটওয়ার্কে নতুন করে সক্রিয় হয়েছে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬৫২টি মুঠোফোন। এর মধ্যে ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৬১টির তথ্য বিটিআরসির তথ্যভান্ডারে ছিল না। এর মানে হলো, এসব ফোন হয় অবৈধভাবে আমদানি, অথবা প্রবাসীরা দেশে ফেরার সময় নিয়ে এসেছেন।
[৭] প্রবাসীরা যেসব মুঠোফোন নিয়ে এসেছেন, সেসব ফোন নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। বিটিআরসির ওয়েবসাইটে গিয়ে পাসপোর্টের ভিসা/ইমিগ্রেশনের তথ্যাদি, ক্রয় রসিদ ইত্যাদি জমা দিয়ে নিবন্ধন করা যায়। বিটিআরসির মহাপরিচালক (তরঙ্গ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে ফোনগুলো ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত সচল থাকার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। প্রবাসীরা বিমানবন্দরে বসেই ফোন নিবন্ধন করতে পারবেন না। তাঁরা যাতে বাসায় ফিরে নিবন্ধন করতে পারেন, এ জন্য ১২ ঘণ্টা সচল থাকবে। এরপর বন্ধ হবে। তিনি আরও বলেন, প্রবাসীরা ফোন বন্ধ হওয়ার পর যদি আবার কখনো প্রয়োজনীয় তথ্য–প্রমাণসহ নিবন্ধন করেন, তাহলে ফোন সচল হয়ে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :