হারুন-অর-রশীদ: [২] জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা মোকাবেলা ও মহাসড়কে চাঁদাবাজী বন্ধে নিরলস ভাবে কাজ করছেন ফরিদপুরের বিভিন্ন হাইওয়ে থানার পুলিশ। কাঠালবাড়ী ঘাট হইতে ভাঙ্গা-মাদারীপুর ও ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা-গোপালগঞ্জ পর্যন্ত মহাসড়কে কোন চেকপোষ্ট বা শ্রমিকেরা চাঁদাবাজী করছে তা আর চোখে পড়েনা।
[৩] মহাসড়কে চাঁদাবাজী বন্ধে পুলিশ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে ইতিপূর্বে কয়েক দফা আলোচনা ও কমিনিউটি পুলিশিং সভা করেছেন।
[৪] একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, এখন মহাসড়কে অটো, নসিমন, করিমন ও থ্রি-হুইলার বা ব্যাটারী চালিত গাড়ী চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করতে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রতিদিন মাদারীপুর রিজিয়ন ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় ব্যাটারী চালিত নসিমন, করিমন বা থ্রি-হুইলারদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে প্রতিদিন ৩০/৪০টি মামলা দেওয়া হচ্ছে। এরপরও যদি কেউ মহাসড়কে উঠে চলাচল করে তাদের গাড়ী আটক রেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মহাসড়কে কোন এলাকায় কোন ব্যাক্তি বা সংগঠন চাঁদবাজী করলে তাৎক্ষণিকভাবে হাইওয়ে পুলিশকে অবহতি করার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে ।
[৫] এব্যাপারে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর আরিফ জানান, মাদারীপুর রিজিয়ন ভাঙ্গা হাইওয়ে থানাসহ অনেক বড় এরিয়া নিয়ে রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছি। পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা মোকাবেলা ও মহাসড়কে চাঁদাবাজী বন্ধে নিরলসভাবে কাজ করছে।
[৬] তিনি বলেন, মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের পাঁশাপাশি ফরিদপুর জেলা পুলিশও সড়কে কাজ করছেন। বর্তমানে মহাসড়কে কোন ধরনের চাঁদাবাজীর মত কোন ঘটনা ঘটছে না। বর্তমানে মহাসড়কে চাঁদাবাজী বন্ধে মালিক সমিতি, শ্রমিক সংঘঠন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কমিনিউটি পুলিশ ও সাংবাদিকদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে কাজ করেছে। এছাড়া মহাসড়কে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে রাত-দিন কঠোর পরিশ্রম
করছি।
[৭] হাইওয়ে পুলিশ মাদারীপুর রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোঃ হামিদুল আলম জানান, ভাঙ্গা-ফরিদপুর-মাদারীপুর হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে চাঁদাবাজ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমার কোন পুলিশ সদস্য মহাসড়কে চাঁদাবাজি করেন না। এরপরও যদি আমার কোন পুলিশ চাঁদাবাজী করে তাহার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে হাইওয়ে পুলিশের মান উন্নয়ন ও সড়কে শৃংঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সর্বদা নিরলস ভাবে কাজ করছে পুলিশ।