শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ০৩ অক্টোবর, ২০২১, ০৯:৪৩ রাত
আপডেট : ০৪ অক্টোবর, ২০২১, ০২:৩৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষার্থীর সন্তানকে কোলে নিয়ে শিক্ষকের পাঠদান

মিনহাজুল আবেদীন, তৌহিদুর রহমান: [২] শিক্ষক পঙ্কজ মধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক। কিশোরী ছাত্রীর শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে ক্লাসে পাঠদান করানোর এই মমতাময়ী কাজটি জন্য প্রশংসা ভাসছেন পঙ্কজ মধু নামের এক স্কুলশিক্ষক। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হতে দেখা যায়।

[৩] এ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে শিক্ষক পঙ্কজ মধু বলেন, করোনা মহামারির প্রথম দিকে গোপনে ৯ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর বিয়ে হয়ে যায়। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় বিষয়টি স্কুলের কেউ জানতো না। সম্প্রতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে এক ছাত্রীর অনুপস্থিতি দেখতে পাই। বিদ্যালয় থেকে ছিটকে পড়া শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করি। পরে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তার বিয়ে ও সন্তানের খবর পাই। তারপরও ছাত্রীর পরিবারকে অনুরোধ করি তাকে স্কুলে পাঠানো।

[৪] রোববার(৩ অক্টোবর) ওই ছাত্রী শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে স্কুলে আসে। সন্তান নিয়ে ওই ছাত্রীর ক্লাস করতে কষ্ট হচ্ছে দেখে শিশুটিকে আমি কোলে নিই। স্নেহ-মমতা থেকে শিশুটিকে কোলে নিয়ে ক্লাস করিয়েছি। সাবেকুন নাহার সাকিনা নামের ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী বলেন, স্যার (পঙ্কজ মধু) আমাদের নিজের বাবার মতো আদর-স্নেহ করেন। শুধু আমি নই অধিকাংশ শিক্ষার্থীই স্যারকে বাবা ডাকেন।

[৫] ওই বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন ছাএ-ছাএী বলেন, স্যারের (পঙ্কজ মধু) কোনো তুলনা হয় না। ওনার কারণে স্কুল মাঠে আমরা ভলিবল খেলতে পারছি। চিনাইর ভলিবল দল স্যারের কারণে সারাদেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে আছে।

[৬] উল্লেখ্য, ২০১০ সালে জুলাই মাসে পঙ্কজ মধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিনাইর আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। যদিও ২০০০ সালের ৩ জুন থেকে তিনি শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত। পঙ্কজ মধু গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার সন্তান। তিনি দুই সন্তানের জনক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়