শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৩ অক্টোবর, ২০২১, ১২:১৩ রাত
আপডেট : ০৩ অক্টোবর, ২০২১, ১২:১৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ড. আসাদুজ্জামান রিপন: ক্ষমতা হারাবার ভয় পেয়ে বসেছে?

ড. আসাদুজ্জামান রিপন: আওয়ামী লীগ বোধহয় আগামী জাতীয় নির্বাচনের বৈতরণী ধান্ধাফিকির করেই পার করতে চাইছে। অর্থাৎ অসাংবিধনিক প্রক্রিয়ার তথাকথিত সার্চ কমিটির পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়ে মনপছন্দ নির্বাচন কমিশন দিয়ে আবারও ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়।

তারা যা চায় চাক, কিন্তু আমাদের দল বিএনপি কেনো তাদের পছন্দে সাড়া দেবে?

বিষয়টি খুবই স্পষ্ট, তাহলো: বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে সার্চ কমিটি গঠন করার ক্ষমতা দেয়নি। সংবিধানের ১১৮ ক অনুচ্ছেদে স্পষ্ট করে বলা আছে, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইন দ্বারা নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যদি সংবিধানে আইনের বিধানাবলী দ্বারা নির্বাচন কমিশন গঠনের নির্দেশনা না থাকতো তাহলে বিশেষ পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটি গঠন করতে পারতেন বা তাঁর সদিচ্ছার ওপর ভর করা যেতো।
বর্তমান ভোটার বিহীন নৈশ ভোটের মহড়ায় গঠিত সরকারের যেহেতু সংসদে একচ্ছত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, তাই তারা সংবিধানের ১১৮ ক অনুচ্ছেদের নির্দেশনাকে সম্মান জানিয়ে নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত আইন সংযুক্ত করতে পারে। এখন কথা হলো: সরকার আইন তৈরী করতে হয়তো চাপের মুখে রাজি হলো, কিন্তু কমিশনের গঠন প্রক্রিয়া, দায়িত্ত্ব, ক্ষমতা, এখতিয়ার, কমিশনের নিরপেক্ষ অবস্থান কিভাবে নিশ্চিত করা যায় তার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে আইন প্রণয়নের আগে সরকারের উচিত হবে সকল ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করা। তাদের সুপারিশ, মতামত, পরামর্শ জনসম্মুখে তুলে ধরে দেশে মানুষের ভোটের প্রতি আগ্রহ ফিরিয়ে আনা ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ত্ব মূলত সরকারের।

বিরোধী দল হিসেবে আমরা সরকারের মতলববাজী কৌশল 'সার্চ কমিটি' গঠনের আলোচনার ফাঁদে কেনো পরবো?
বরং একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন কিভাবে গঠন করা যায়, সে লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের বেলায় বিরোধী দল হিসেবে আমরা আমাদের পরামর্শ তুলে ধরতে চাই। এর বাইরে অন্য কোনো কিছুতে আমাদের সায় নেই। এসব পাস কাটিয়ে আওয়ামী লীগ যদি আবারো প্রহসনের নির্বাচনে ক্ষমতায় ফিরে আসার স্বপ্ন দেখে - তা হবে তাদের রাজনৈতিক অপমৃত্যুর সামিল।
ওবায়দুল কাদের সাহেব তো আস্ফালন করে বলেছেন তাদের সরকারের উন্নয়নের ' ঠ্যালায়' বিএনপি নাকি চোখে শর্সে ফুল দেখবে! এতই যদি আত্ম বিশ্বাস থাকে তাহলে অন্ধকারের গলি দিয়ে হেঁটে ক্ষমতার মসনদ আকড়ে থাকতে চান কেনো? আপনাদের নাকি জনপ্রিয়তাও বেড়েছে! তাহলে অবাধ নির্বাচন আয়োজনে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় রাজি হননা কেনো? ক্ষমতা হারাবার ভয় পেয়ে বসেছে?

সার্চ কমিটিকে অসাংবিধানিক বলা নাকি সংবিধানবিরোধী- এমন দাবি করেছেন ওবায়দুল কাদের। আচ্ছা উনি এবং ওনাদের আইনমন্ত্রী কি দেখাতে পারবেন সংবিধানের কোন জায়গায় সার্চ কমিটি গঠনের বিধান আছে? বরং ক্ষমতার জোরে বেআইনিভাবে রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করার নামে আপনারা বারবার সংবিধান লঙ্ঘন করছেন। এবং বারবার অবৈধ পন্থায় নির্বাচন কমিশন গঠন করে তার অধীনে নির্বাচন আয়োজন করে অবৈধভাবে সরকার গঠন করছেন। এরফলে দেশ আজ ফ্যাসিবাদী শাসনের কবলে। আর জনগণ অধিকারহারা....

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়