সাকিবুল আলম: [২] বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক শ্রীপতি সিকদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
[৩] একই সঙ্গে বহিষ্কৃত হওয়া ওই পাঁচ শিক্ষার্থী নির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী সেমিস্টারের পরবর্তী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং গত ২৭ সেপ্টেম্বর বহিষ্কৃত হওয়া ওই কোর্সের পরীক্ষাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
[৪] বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, লুঙ্গি পরে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কারণে ওই শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়েছে, বিষয়টি সঠিক নয়। মূলত জুম কানেকটিভিটি ও ক্যামেরা প্লেসিংয়ের সমস্যার কারণে তাঁদের সাময়িকভাবে বিরত রাখা হয়েছিলো।
[৫] এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থী বহিষ্কারের ঘটনাটি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কোর্স শিক্ষক, পরীক্ষার সুপারভাইজারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকের পরপরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
[৬] ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড প্রসেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ও ১৭তম ব্যাচের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছিলো। এ সময় পরীক্ষায় অসদাচরণ, পরীক্ষার নিয়ম অনুসরণ না করা, রূঢ় আচরণ করা এবং সুপারভাইজারকে অসহযোগিতা করার কারণ দেখিয়ে পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। তবে বহিষ্কৃত হওয়া ওই শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, লুঙ্গি পরে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে।
আপনার মতামত লিখুন :