গীতিআরা নাসরিন : যতোই অবাক হই না কেন, নবীনতম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের কেশকর্তন কি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা? কথা বলার জন্য খনার জিভ কেটে দেওয়ার মতো, ভিন্ন চিন্তা করলে নম্বর কেটে দিয়ে, গেস্টরুমে ‘সহবত’ শিক্ষা দিয়ে, প্রশ্ন না করে মান্য করার পরিবেশ তো দিনের পর দিন তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত যেভাবে নাজেহাল হন, তা নিয়ে হাতে গোনা দু/একজন শিক্ষক কথা বললে রোষ তাদের ওপরও এসে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় চিন্তার বিকাশক্ষেত্র হওয়ার কথা ছিলো, তার বদলে কীভাবে চিন্তার বিনাশক্ষেত্র হবেÑ তার আয়োজনই তো সর্বত্র।
নির্বাচিত মন্তব্য : মঈনুল রাকীবÑ বিভিন্ন নিয়োগ বোর্ডে অধিক যোগ্য প্রার্থী থাকলেও নিজের বিভাগের/পরিচিত/থিসিস শিক্ষার্থী বা সমআদর্শের ‘ছাত্র/ছাত্রীকে নিয়োগে সুপারিশ করা’র মতো বুদ্ধিবৃত্তিক সন্ত্রাসবাদও চলমান। কেবল নিজের বিশ্ববিদ্যালয় নয় বলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অবমূল্যায়নও খুবই সহজলভ্য হয়ে গেছে। প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে অপু, প্রতিদিন হচ্ছে জুলুম। নিশ্চয়ই জ্ঞানরাজ্যের জালিমদের একদিন জবাবদিহি করতে হবে।
[২] অপু চাকমা : বাংলাদেশের সামরিক শাসন জারির পর সেনা সদস্যরা রাস্তায় ধরে ছাত্রদের চুল কেটে দেওয়ার এবং মার্কেট করতে যাওয়া নাভীর নীচে শারী পরা নারীদের আলকাতরা লাগিয়ে দেওয়ার নজীর আছে। তৎকালীন সেনা কর্মকর্তাদের স্ত্রী এবং সন্তানরা রাস্তায় হেনস্তার কবলে পরার পর সেটা বন্ধ করতে হয়েছে। দিন বদলালেও তাদের আদর্শের অনুসারীরা এখনো যে আছে সেটা চিন্তা করতে হবে। সমাজে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী অসুস্থ চিন্তা সম্পন্ন মানুষদের আইনের আওতায় আনা খুবিই জরুরি।
[৩] ফাহমিদ আখতার : কেবল পরীক্ষার উত্তরপত্র নয়, শিক্ষকের বাজারের ব্যাগ টানাও যখন ভালো রেজাল্ট করার যোগ্যতা হয় তখন অপুদের কী করার থাকে? বাজারের ব্যাগ টানা শিক্ষার্থী পরে শিক্ষক হন। তিনি চুল কাটার মতো কোনো নির্দেশনা দিলে গেলো গেলো রব ওঠে। আপা, শিক্ষক হয়ে শিক্ষকের সমালোচনা করছেন! ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :