হাসান মোরশেদ: মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গৃহীত নানা আনুষ্ঠানিকতার ভিড়ে সম্ভবত সবচেয়ে সেরা উদ্যোগ এটি। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে, জীবনমানের নানা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো হচ্ছে। কিন্তু ‘মধ্যম আয়ের ফাঁদ’ বলে একটা কথা চালু আছে। বহু রাষ্ট্র এই ফাঁদে আটকে থাকে। মধ্যম আয় থেকে পরবর্তী ধাপ অর্থাৎ স্থায়ী উন্নত রাষ্ট্রে উত্তীর্ণ হতে পারে না। এ যেন এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার শেষ ধাপ, সবচেয়ে কঠিন সেই ‘হিলারি স্টেপ’।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনার ঘোষিত একটা ভিশন আছে। রূপকল্প-২০৪১। অর্থাৎ ২০৪১ এর মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের ফাঁদ পার করে স্থায়ী উন্নত রাষ্ট্রে স্থিত করা। এই স্থিতি তখনই বাস্তবায়িত হবে যখন রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের জীবনমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নত জীবনমান হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। তাই এই সামগ্রিক রূপকল্প বাস্তবায়নে প্রতিটি নাগরিকের নিজস্ব রূপকল্প থাকবে। আগামী ২০ বছরে নিজের জীবনমানকে আমি কোন পর্যায়ে দেখতে চাই, এ ক্ষেত্রে কোন কোন প্রতিবন্ধকতা দূর করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলে আমি মনে করি, এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে রাষ্ট্র ও সরকারের কাছে আমার প্রত্যাশা ও পরামর্শ কী? শুধু দারিদ্র বিলোপ নয়, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, তথ্য-প্রযুক্তি, গুণগত শিক্ষাব্যবস্থা, জেন্ডার সমতা, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, প্রবৃদ্ধিবান্ধব অবকাঠামো, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা,পরিবেশ রক্ষা,শান্তি-নিরাপত্তা ও জঙ্গিবাদ দমন, পর্যটন শিল্পের বিকাশ, স্থিতিশীল আর্থিক ব্যবস্থাপনা, খাদ্য নিরাপত্তা, জনগণের ক্ষমতায়ন ও সুশাসন, তারুণ্যের দক্ষতা বৃদ্ধি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বাস্তবায়নের মতো বিষয়ে নাগরিক মতামতের গুরুত্ব অপরিসীম। লেখক ও গবেষক
আপনার মতামত লিখুন :