শিরোনাম
◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি

প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৫:১৮ বিকাল
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৫:১৮ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কথায় কথায় জামার কলার ধরা পুলিশের একটি সাধারণ অভ্যেস

এ বি এম কামরুল হাসান: টাঙ্গাইলে একজন প্রধান শিক্ষক একজন পুলিশ অফিসারকে চড় মেরেছেন। এটি নিঃসন্দেহে একটি গুরুতর অপরাধ। গর্হিত তো বটেই। কোন যুক্তিতেই এ অপরাধ ঢাকা যাবে না। তাও আবার একজন শিক্ষক এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা তো জাতির বিবেক। আমাদের সবার অভিভাবক। শিক্ষক কর্তৃক এ ঘটনা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

"আমি পরিচয় দেয়ার পরেও ওই পুলিশ কর্মকর্তা জনসম্মুখে আমার জামার কলার ধরলে۔۔۔۔"-যদি এটি সত্যকথন হয়, তাহলে সেটিও জঘন্য অপরাধ। ওই শিক্ষক নিশ্চয়ই চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, ধর্ষণ বা খুন করেনি। শিক্ষকের প্রতি সম্মানবোধের অভাব থেকেই এমনটি হয়েছে বলে ধারণা করা যায়। আমি হলফ করে বলতে পারি ওই পুলিশ কর্মকর্তার বাবা শিক্ষক ছিলেন না। কোন শিক্ষক বাবার ছেলে পুলিশ কর্মকর্তা হলে তাঁর ভেতর শিক্ষকের প্রতি সম্মানবোধ নিশ্চিতভাবেই কাজ করবে।

কথায় কথায় জামার কলার ধরা পুলিশের একটি সাধারণ অভ্যেস। "পুলিশ জামার কলার ধরে" লিখে গুগলে সার্চ দিলাম। অসংখ্য ঘটনা বের হলো। অধিকাংশই নিকট অতীতের। মজার ব্যাপার হলো জামার কলার ধরার ঘটনা ভারতেও কম নয়, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে। তার মানে এটি কি বাঙালি পুলিশের অভ্যেস ? অবশ্য হেনস্থা করার এ প্রথাটি শুধুমাত্র পুলিশ নয়, মাস্তান প্রকৃতির লোক ও নিন্মস্তরের কিছু নীতিভ্রষ্ট হাইব্রিড রাজনীতিকের ভেতরও দেখা যায়। এবার ইংরেজিতে "পুলিশ গ্রাবড দি কলার অফ দি শার্ট" লিখে সার্চ দিলাম গুগলে ও ইউটিউব এ। খুব কষ্টকর কাজ এটি। বিদেশে এমনটি খুঁজে পাওয়া যায়না। ইংরেজিতে যা দুএকটা এরকম খবর পাওয়া যায় তা হয়তোবা বাংলাদশের কোন ইংরেজি পত্রিকার খবর বা ভারতের খবর।

গুগল সার্চে যেটা বুঝলাম, তা হলো জামার কলার ধরার পুলিশের এ সংস্কৃতি উন্নত বিশ্বে চলে না। আমরা কি এ অপসংস্কৃতি থেকে বের হতে পারি না ? প্রায়ই শুনি, পুলিশবাহিনীকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। আধুনিকায়ন করতে পুলিশের ভিত্তি প্রশিক্ষনের এ দিকটি কি বিবেচনা করা যায় না ? যিনি দাগি আসামি নন, তাঁর ক্ষেত্রে অযাচিতভাবে জামার কলার ধরা পড়লে এহেন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো আসলেই মুশকিল। কারণ পুলিশও মানুষ, শিক্ষকও মানুষ। আর আবেগ ও সম্মানবোধতো মানুষেরই থাকে।

পাদটীকা: এ লেখাটি শেষ করতেই ডাক পড়লো কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে। বাসা থেকে চুয়াল্লিশ কিলোমিটার দূরে। তিনটি সিজারিয়ান সেকশন হবে। সবাই কোভিড পজিটিভ রোগী। পাঁচ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে পড়লাম। পরনে ওটির স্ক্র্যাব সুট। ওটিতে ঢুকার পূর্বে সেটি বদলিয়ে নেবো। রাস্তায় পুলিশের রোড ব্লক। বাম লেনে লম্বা লাইন। আমি ডান দিক দিয়ে মাঝারি গতিতে ছুটলাম। সামনে যেতেই পুলিশ আমাকে দেখেই এগিয়ে যাবার সিগন্যাল দিলো। কোন কথা বলা লাগেনি। কোন আই ডি কার্ড দেখানো লাগেনি। লেখকঃ প্রবাসী চিকিৎসক, কলামিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়