তৌহিদুর রহমান: [২] যতই দিন যাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় বাগানে রসে ভরা সবুজ মাল্টা ঝুলছে। এযেন এক অরুপ প্রকৃতির খেলা। এতে করে কৃষকরা ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন, আনন্দে ভরে উঠছে তাদের মন। এর মর্ধ্যে স্বাদ ও মানে অনন্য সবুজ রঙের মাল্টা সবচেয়ে বেশি চাষ হচ্ছে। দেখতে বাইরের অংশ গাঢ়ো সবুজ আর ভেতরটা মিষ্টি রসে ভরপুর।
[৩] কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জেলার কসবা, আখাউড়া ও বিজয়নগরের মাটি মাল্টা চাষের জন্য উত্তম। ফলন ও মুনাফা ভালো হওয়ায় প্রতি বছরই মাল্টার আবাদ বাড়ছে। তিন উপজেলার ১৩৫ হেক্টর জমিতে বারি-১ ও বারি-২ জাতের মাল্টার চাষ হয়েছে। গাছে গাছে ঝুলছে রসালো সবুজ মাল্টা। আর কদিন পরই পরিপক্ক হবে মাল্টাগুলো।
[৪] খোঁজ নিয়ে ঘুরে জানা যায়, বিগত ছয়/সাত বছর ধরে জেলার তিন উপজেলায় চাষ হচ্ছে মাল্টা। স্বল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় প্রতি বছরই নতুন নতুন কৃষক সবুজ মাল্টা চাষে ঝুঁকছেন। কোনো ধরনের কেমিকেল ছাড়া সবুজ রঙের মাল্টা স্বাদে ও মানে ভালো হওয়ায় বাজারে এর চাহিদাও বেশি। প্রতি কেজি সবুজ মাল্টা পাইকারদের কাছে ৮০-১০০ টাকা দরে বিক্রি করেন কৃষকরা। অধিকাংশ পাইকার সরাসরি কৃষকের বাগান থেকে মাল্টা কেনেন। পাইকারদের মাধ্যমেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাল্টা বাজারজাত হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে।
[৫] মাল্টা চাষি রফিক মিয়া বলেন, এবার দুই কানি জমিতে মাল্টা চাষ করেছি। ফলনও খুব ভালো হয়েছে। তবে আমি পাইকারদের কাছে পুরো বাগানটি সাড়ে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। তারা সাড়ে ৪-৫ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করতে পারবে।
[৬] আরেক চাষি শিপন মিয়া জানান, বাড়ির পাশে ৪০ শতাংশ জমিতে মাল্টা চাষ করেছেন। এবছর ফলন কিছুটা বেশি হয়েছে। অন্তত এক টন মাল্টা পাবেন বলে আশা করছেন। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা। পুরো বাগান পরিচর্যায় তার খরচ হয়েছে মাত্র ২৫ হাজার টাকা।
[৭] ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রবিউল হক মজুমদার বলেন, এ বছর ২ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ফলনের আশা করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের আবাদ কৌশল ও পোকা-মাকড় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :