শিরোনাম
◈ ইরানের ইস্পাহানে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান

প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১১:৪৪ দুপুর
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১১:৪৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আইফোনের জন্য জমানো টাকা কিডনি রোগীকে দিলেন চিকিৎসক

ডেস্ক রিপোর্ট: কথায় আছে শখের মূল্য লাখ টাকা। তবে তা যদি কারো হাতে তুলে দিতে মহৎ উদ্দেশ্যে তাহলে তো কথাই নেই। আইফোন কিনতে লক্ষাধিক টাকা জমিয়েছিলেন পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে কর্মরত এক চিকিৎসক। তবে সেই টাকা কিডনি রোগে আক্রান্ত এক রোগীর চিকিৎসার জন্য দিয়েছেন। বাংলাট্রিবিউন

কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন ছিল ওই ব্যক্তির। অনলাইন মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন তরুণ এই চিকিৎসক

সাকিল সরোয়ার। পেশায় চিকিৎসক। পিরোজপুর শহরের শিকারপুর সড়ক এলাকায় তার বাড়ি। কর্মস্থল পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল। শখ মেটাতে মার্কিন কোম্পানি অ্যাপলের তৈরি আইফোন কেনার জন্য লক্ষাধিক টাকা জমিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সবুজ মিয়া নামে কিডনি রোগে আক্রান্ত এক ব্যক্তির টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছিল না জেনে শখের ফোনের জন্য জমানো টাকা তার হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে সাকিল সরোয়ার বলেন, “আমি অনলাইনের মাধ্যমে সবুজের বিষয়ে জানতে পারি। অসুস্থ স্বামীর জন্য সবুজের স্ত্রী কিডনি দিতে রাজি হলেও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাধা দেয়। এরপর এগিয়ে আসেন সবুজের মা। তখন সমস্যা দেখা দেয় টাকার। সপ্তাহে তিনবার ডায়ালাইসিস করতে ১১ হাজার টাকা লাগে। আমি বিষয়টি শুনতে পেয়ে সবুজ মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং ছয় মাস ধরে আইফোন কেনার জন্য জমানো লক্ষাধিক টাকা তার হাতে তুলে দেই।”

এই চিকিৎসক আরও জানান, তিনি ছাড়া এক প্রবাসী সবুজ মিয়াকে এক লাখ টাকা দিয়েছেন। এছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও একজন সবুজ মিয়াকে এক লাখ টাকা দিয়েছেন। ঢাকার একটি হাসপাতালে সবুজ মিয়ার কিডনীর অপারেশন হবে।

সাকিল সরোয়ারের একমাত্র ভাই জামিল সরোয়ার যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। সেখানে তিনি নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ এনওয়াইপিডির শহর গোয়েন্দা ব্যুরোতে কর্মরত।

তাদের বাবা সরোয়ার হোসেন ছিলেন একজন সফল আইনজীবী। পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে সংশ্লিষ্টতা ছিল তার। করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ে জামিল সরোয়ারের নিউইয়র্কে বাড়িতে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

সাকিল সারোয়ারের মা রেনু সারোয়ার পিরোজপুরের একটি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়