মাসুদ আলম : [২] মঙ্গলবার সারাদেশে ছয় দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে অ্যাপভিত্তিক ড্রাইভারস ইউনিয়ন অব বাংলাদেশ (ডিআরডিইউ)। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কর্মবিরতি পালন ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অ্যাপনির্ভর রাইড শেয়ার পরিষেবা দিনদিন ব্যাপক বাণিজ্যিক রূপ ধারণ করছে। কিন্তু রাইড শেয়ারিং পরিচালনাকারী কোম্পানিগুলো চালকদের কাছ থেকে বিভিন্ন রকম কমিশন কেটে নিচ্ছে। এতে করে সারাদিন রাইড শেয়ারিং করার পর তাদের তেমন কিছুই থাকে না। আমাদের গাড়ি, জ্বালানি ও শ্রমের বিনিময়ে যে টাকা পাওয়া যায়, তা থেকে কোম্পানিগুলো ২৫ শতাংশেরও বেশি কমিশন কেটে নিচ্ছে।ফলে দিন শেষে আমাদের যা থাকছে, তা দিয়ে সংসার চালানোই দায়।
[৩] আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, রাস্তায় বের হলেই বিভিন্ন রকম পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছি আমরা। আমাদের কোথাও দাঁড়ানোর জায়গা নেই। দাঁড়াতে দেখলেই ট্রাফিক পুলিশ এমন জরিমানা করে যা আমরা ৭ দিনেও আয় করতে পারি না। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা পেমেন্ট করায় ভাড়া হিসেবে কত থাকছে কিংবা কত শতাংশ কোম্পানি কেটে নিচ্ছে তা তারা জানেন না। দৈনিক ৩ হাজার ক্যাশ করলে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার মতো থাকে। আমরা পরিবার নিয়ে বিপদে আছি। যে টাকা ইনকাম করি এতে কিছুই হয় না।
[৪] সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ বলেন, আমরা আজ সারাদেশে শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি পালন করছি। আমরা ছয়টি দাবি তুলেছি, আমাদের এসব দাবি পূরণ করতে হবে। আমরা দিনের পর দিন যে কষ্টে দিন কাটাচ্ছি । আমরা কর্মের নিশ্চয়তা চাই, পার্কিংয়ের ব্যবস্থা চাই। ছয়টি দাবী হলো- অ্যাপস-নির্ভর শ্রমিকদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি, কর্ম ও সময়ের মূল্য দেওয়া।
[৫] তিনি আরও বলেন, সব ধরনের রাইডে কমিশন ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা, মিথ্যা অজুহাতে কর্মহীন করা থেকে বিরত থাকা। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে রাইড শেয়ারিংয়ের যানবাহন দাঁড়ানোর জায়গা করে দেওয়া। সব ধরনের পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা। তালিকাভুক্ত রাইড শেয়ারকারী যানবাহনগুলোকে গণপরিবহনের আওতায় অ্যাডভান্সড ইনকাম ট্যাক্স (এআইটি) মুক্ত রাখা। গতবছর গ্রহণ করা সব এআইটি তালিকাভুক্ত যানবাহন মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়া।