অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন: ভারতের সর্বোচ্চ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পুরস্কার পেলেন ১১ জন বিজ্ঞানী। মোট ১১ জন এই বছর শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার পেলেন যার মধ্যে ৪ জনই বাঙালি বিজ্ঞানী। ভারতে মোট ২৭টি রাজ্যের ,মধ্যে পশ্চিম বঙ্গ একটি। বিজ্ঞানে ভারতীয় বাঙালির জয়জয়কার অব্যাহত।
বাংলাদেশের বাঙালির কি অবস্থা? হ্যা! বিজ্ঞানীদের জন্য আমাদের কি আছে এমন কোন পুরস্কার? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া দেখলেও বোঝা যায় কতটা রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত। বিএনপির সময় বিএনপি ঘরানা শিক্ষক আর আওয়ামীলীগের সময় আওয়ামী ঘরানার শিক্ষকরাই পায় এই পুরুস্কার। আমরা কবে ঘরানা মুক্ত হবো? শুনেছি প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় গেলে ওখানেও দুইদল মারামারি করেছে। দেশের ঝগড়াঝাটি বিদেশে গেলে সঙ্গে করে সেটাও আমরা নিয়ে যাই। আমরা matured হব কবে?
কিন্তু জাতীয়ভাবে শান্তিস্বরূপ ভাটনগরের মত এমন কোন পুরস্কার আমাদের নেই। আসলে বিজ্ঞানীই নেই পুরস্কার দিব কাকে? আর বিজ্ঞানী থাকবেই বা কিভাবে? বিজ্ঞানী সৃষ্টির কোন রকম ভিশন এই দেশে আছে? ভারতের সেরা বিজ্ঞানীদের অধিকাংশই ইনস্টিটিউটে কর্মরত। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক না। তবে আইআইটিগুলো ব্যতিক্রম। পুরস্কার বিজয়ীদের এফিলিয়েশন দেখলে দেখা যায় ইনস্টিটিউট আর আইআইটির জয়জয়কার। সেই জন্যই মানুষের দানে IISc কিংবা TIFR এর মত একটা বিশ্বমানের ইনস্টিটিউট খুলতে চাই। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যদি গড়তে চান এর কোন বিকল্প নেই। আর কত বিদেশমুখী হবেন? দেশেই যেন বিশ্বমানের গবেষণা হয় সেইজন্য কিছু করুন।
আসলে বিজ্ঞানের গুরুত্বই আমরা বুঝি না। বুঝলে নতুন কাররিকুলামে বিজ্ঞানকে এমনভাবে অবহেলা সরকার করতে পারতো? আর সরকার করছে বলেই আমাদের হজম করতে হবে? প্রস্তাবিত ওই সিলেবাস পড়ে কেউ আর বিজ্ঞানী হওয়া লাগবে না। বড়জোর টেকনিশান হওয়া যাবে, অন্য দেশের তৈরী প্রযুক্তির ভোক্তা হয়েই থাকতে হবে। লেখক : শিক্ষক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আপনার মতামত লিখুন :