মঈন উদ্দীন :[২] রাজশাহী মহানগরীতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মজিবুর রহমান আত্মহত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত নারীদের কাছ থেকে মৃতের খোয়া যাওয়া মোবাইল উদ্ধার হয়। আটককৃত দুই নারী বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার আড়লে একটি সংঘবদ্ধ ব্লাকমেলিং চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[৩] তারা হলেন, নওগাঁ জেলার মান্দা থানার বালিচ গ্রামের মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী আইরিন ইয়াসমিন লিজা (৩৪) এবং ঢাকা জেলার সাভার থানার ডেন্ডাবর নতুনপাড়া পলাশবাড়ী গ্রামের ফিরোজের মেয়ে মোসা. শামীমা আক্তার (২৪)। আটককৃতরা ঢাকার সাভারে একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
[৪] পুলিশ বলেছে, মৃত মজিবুর রহমান পরিবার নিয়ে উপশহর ২নং সেক্টর, হোল্ডিং নং-৯০/২ বাসায় ভাড়ায় থাকতেন। এবছরের ৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯ টা হতে পরের দিন ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮ টার মধ্যে কোন এক সময় তিনি আত্মহত্যা করেন। সেদিন তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাসায় ছিলো না। সংবাদ পেয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ তার ভাড়া বাসা থেকে দরজা ভেঙ্গে তার মরদেহ বের করে।
[৫] মৃতের বড় ছেলে পিতার আত্মহত্যার বিষয়ে অবগত করলে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়। তার ছেলে আরো জানায়, মৃত্যুর পর তার পিতার মোবাইল ফোন সেট পাওয়া যায়নি এবং মৃতের স্ত্রী জানায়, তার বাসায় থাকা ৪ চার লক্ষ টাকা এবং ব্যাংক এর কিছু কাগজপত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
[৬] উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে বোয়ালিয়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। একই সাথে গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :