শিরোনাম
◈ খালেদা জিয়াকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উৎকণ্ঠা—এভারকেয়ারে নজর সবার ◈ প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে বাড়তি খরচ কমাতে নতুন ছক চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক ◈ ১০ মাস পর প্রার্থী পরিবর্তন: খুলনা-১ এ জামায়াতের টিকিট পেলেন কৃষ্ণ নন্দী ◈ খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল এভারকেয়ারে ◈ উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক বাজারে যুক্ত করতে পে-প্যালের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে: গভর্নর ◈ 'স্বেচ্ছা নির্বাসনে' যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ ◈ স্কুলে ভর্তির নীতিমালা সংশোধন, বয়সসীমা শিথিল করল মাউশি, রেজিস্ট্রেশনের বয়সে কঠোর বোর্ড ◈ ভূমিকম্প থে‌কে রক্ষা পেতে জাপানের কাছ থেকে যা শিখতে পারে বাংলাদেশ ◈ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা ◈ তালাক হলেও ফিরে আসার পথ—ইসলামী বিধান অনুযায়ী করণীয়

প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৪:৩০ দুপুর
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৮:২৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] তিউনিসিয়ায় প্রেসিডেন্টের ডিক্রি জারির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল রাজধানী

রাশিদুল ইসলাম : [২] সংবিধানের তোয়াক্কা করেন না তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ রাষ্ট্রযন্ত্রের সমস্ত ক্ষমতা নিজের হাতে কুক্ষিগত করেছেন। ডিক্রি জারি করে দেশ চালাচ্ছেন। প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে দেশটির জনগণ। তারা তার পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল করে তুলেছে রাজধানী তিউনিস। রোববার তারা হাবিব বুরগুইবা এভিনিউসহ তিউনিসের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে সমবেত হন। প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা গ্রাসকে অভ্যুত্থানের সঙ্গে তুলনা করে তারা স্লোগান দেন, জনগণ অভ্যুত্থানের পতন চায়। আল জাজিরা

[৩] ২০১৪ সালে দেশটিতে যে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়, তার বেশির ভাগই প্রেসিডেন্ট কায়েস পাশ কেটে রেখে দিয়েছেন। বুধবার তিনি সংবিধানকে উপেক্ষা করে ডিক্রির মাধ্যমে দেশ শাসন করার ঘোষণা দেন। এর দু’মাস আগে তিনি বরখাস্ত করেন প্রধানমন্ত্রীকে। স্থগিত করেন পার্লামেন্ট এবং প্রচলন করেন নির্বাহী কর্তৃত্বের।

[৪] তার এই স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে আইকনিক ন্যাশনাল থিয়েটারের সামনে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক হাজার মানুষ। তিউনিসিয়ায় বড় যেকোনো বিক্ষোভের ঐতিহাসিক স্থান এই ন্যাশনাল থিয়েটার। সেখানে উত্তাল জনতার মাঝে গর্জন দিয়ে ৩০ বছর বয়সী শিক্ষার্থী সৌম্য ওয়ারহানি বলেন, আমি সত্যি ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ। সংবিধান লঙ্ঘন এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘটাতে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাচ্ছি।

[৫] প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ডকে ‘ক্ষমতা গ্রাস’ হিসেবে আখ্যায়িত করে শনিবার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে তিউনিসিয়ার ও বৈশ্বিক মানবাধিকার বিষয়ক প্রায় ২০টি সংগঠন। এতে স্বাক্ষরকারীরা যুক্তি দিয়ে বলেছেন, ডিক্রির মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত ও পার্লামেন্ট স্থগিত করে প্রেসিডেন্ট তার ক্ষমতা বৃদ্ধি করছেন। এটা পুরোপুরি সাংবিধানিক শৃংখলার পরিপন্থি ও সরাসরি কর্তৃত্ববাদ।

[৬] বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ২০১৪ সালে প্রণীত একটি সংবিধানের কপি দোলাতে থাকেন বেলগাসেন বুনারা। বলেন, রাষ্ট্র হয়তো ভুলে গেছে, এমন একটি অতি দরিদ্র অঞ্চল তাতাউইনি থেকে গিয়ে তিনি বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি কম্পিউটার বিক্রি করেন। বলেছেন, কায়েস সাইদ সংবিধান ও আমাদের গণতন্ত্র থেকে বেরিয়ে যেতে চাইছেন।

[৭] সাবেক পার্লামেন্টারি কর্মকর্তা চেরিফ এল কাদি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদের কর্মকাণ্ড ঘৃণার যোগ্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়