শিরোনাম
◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দ্রুত আরোপ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত ◈ বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ ও মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র: ম্যাথিউ মিলার ◈ ঈদের পর কমপক্ষে ২৩ ডিসি’র রদবদল হতে পারে ◈ ৫ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে কর্মদিবস একদিন ◈ চাঁদপুরে পিকআপ ভ্যান ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত

প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০১:২৫ রাত
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০১:২৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাহবুব মোর্শেদ: বিএনপির নেতাকর্মীদের ক্ষমতায় যাওয়ার সুবিধার্থে একটা ভালো নির্বাচনের ব্যবস্থা কে করে দেবে? কেন করে দেবে?

মাহবুব মোর্শেদ: দুই দফা ৬ দিন ধরে আলোচনা করে বিএনপি নেতাকর্মীরা সিদ্ধান্তে এসেছেন তারা আন্দোলন নিয়ে তাড়াহুড়া করবেন না। এই সিদ্ধান্ত খুবই বিচক্ষণ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বলেই মনে হচ্ছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা কী বলেছেন তা নিয়ে খুব বেশি খবর প্রকাশিত হয়নি। বিস্তারিত খবরও কম এসেছে। তবু কিছু কিছু পয়েন্ট মোটাদাগে সামনে এসেছে।

যেমন : ১. বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি আর কোনো নির্বাচনে যাবে না। ২. জামায়াতের সঙ্গে জোট সম্পর্ক বিএনপি নেতাকর্মীরা পুনর্বিবেচনা করতে আগ্রহী। তারা মনে করেন জামায়াত আত্মকেন্দ্রিক দল। জামায়াতের সঙ্গে জোট করে লাভের বদলে ক্ষতি হয়েছে বেশি। ৩. ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে জোট করে বিএনপির কোনো লাভ হয়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে অংশগ্রহণ ভুল ছিল। ৪. ছোট ছোট বড় বড় নেতাদের গুরুত্ব দেওয়া ঠিক হয়নি। এদের সঙ্গে ভবিষ্যতে জোট গঠন ঠিক হবে না। ৫. বিএনপির একক নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সহ অন্য দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার পক্ষে মত এসেছে। ৬. দলের বাইরে কারো নেতৃত্ব মেনে বিএনপি আর আন্দোলনে যাবে না।

নেতাদের কথা থেকে বোঝা গেছে, এগুলো সিদ্ধান্ত নয়, নেতাকর্মীদের মনোভাব। বলা হচ্ছে, দলটিতে এ ধরনের কথাবার্তা আগে তেমন হয়নি। ফলে, এই আলোচনার আয়োজন দলকে চাঙ্গা করে তুলেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের কথাবার্তায় একধরনের একলা চলো সুর ধ্বনিত হচ্ছে। তারা আত্মবিশ্বাস অনুভব করছেন। মনে করছেন, নির্বাচনের আগ দিয়ে একলা একলা আন্দোলন করে একটা সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায় করে নিতে পারবেন। কিছুদিন আগে আমি অনেক যুক্তি সহকারে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছিলাম, একটা সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিলেও আওয়ামী লীগ জিতবে। অনেকে সেটা নিয়ে অনেক হাসাহাসি করেছিলেন। একদল বলছিলেন, আওয়ামী লীগ জিতবে না। আরেক দল বলছিলেন, আওয়ামী লীগ ভাল নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে না।

তাদের ধারণা, ভালো নির্বাচন হলে বিপুল ভোটে বিএনপি জয় পাবে। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম সেটা সত্যি। কিন্তু বিএনপিকে ভালো নির্বাচনের ব্যবস্থা কে করে দেবে? পরিস্থিতির গতিপ্রকৃতি দেখে মনে হয়, আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করে আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার মতো শক্তি বিএনপি আগামী দুই বছরে অর্জন করতে পারবে না। এমনকি সমাজের মধ্যেও কার্যকর কথাবার্তা চালু করার মতো সামাজিক যোগাযোগও বিএনপির নেই। বলতে গেলে, নির্বাচন ব্যবস্থায় যে কোনো সমস্যা আছে তা বাংলাদেশের সামাজিক পরিমণ্ডলে বড় কোনো আলোচনা হিসেবে গত আট/দশ বছরে সামনে আসেনি। নাগরিক সমাজ, মিডিয়া থেকে শুরু করে সমাজের নানা প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিন্তিত হতে দেখা যায়নি। ফলে, এটা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাইরে কেউ মাঠে নামবে এমন নিশ্চয়তা নেই।

বিএনপি কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের মানুষকে বোঝাতে পারেনি আওয়ামী লীগের বদলে তারা এলে ঠিক কোন কাজটা করবে যা এনারা করছে না। বা কোন কাজটা করবে না না যা এনারা করছেন। এই অবস্থায় ভালো নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে বিএনপির বিশেষ কোনো লাভ হবে না। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর। নির্বাচন হলেই তারা ক্ষমতায় যাবেন এমন তাদের মনোভাব। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার সুবিধার্থে একটা ভালো নির্বাচনের ব্যবস্থা কে করে দেবে? কেন করে দেবে? ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়