মোহাম্মদ হোসেন: [২] চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অভিযানেও থামছে না ভেজাল কারবার। বাতিল করা পণ্য মিলে বাজারে। উপজেলা ও পৌর সদর জুড়ে অনুমোদনহীন ও ভেজাল খাবারের বিক্রি বাড়ছে।
[৩] বিভিন্ন ফার্মেসি, বেকারি, রেস্টুরেন্ট, সুপারশপসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, মোড়কজাতকরণ বিধি লঙ্ঘন, অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্যপণ্য প্রস্তুতসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী অন্যান্য অপরাধে জরিমানা করা হয়। তবে এক শ্রেণীর অর্থলোভী ব্যবসায়ী বিভিন্ন কৌশলে ভেজাল পণ্য বিক্রি করছে বিভিন্ন দোকানে। এসব নিত্যপণ্যের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য, পণ্য ক্রয়-বিক্রয় রসিদ, পণ্যের মূল্যতালিকা পরিবীক্ষণ করা হয়। এসময় সরকার নির্ধারিত মূল্যে চিনি ও ভোজ্যতেল বিক্রয়ের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়। ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে অনেক প্রতিষ্টানকে জরিমানা করা হলেও তারা ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী লঙ্ঘন করে ভেজাল খাদ্যপণ্য তৈরি এবং বাজারে বিক্রি করছে।
[৪] উপজেলা ও পৌর- প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যৌক্তিক মূল্যে বিক্রি হচ্ছে কি-না তা তদারকি করে থাকেন। বিভিন্ন সময় অভিযানকালে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মূল্য তালিকার সঙ্গে বিক্রয় রশিদের গরমিল, পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ না করা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ, পণ্যের মোড়কজাতকরণ বিধিমালা লঙ্ঘন, অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত ও ওজনে কারচুপিসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে জরিমানা আদায় করেন।
[৫] সরজমিনে পৌর-সদরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্টান ও অলিগলির দোকানে প্রকাশ্যেই এসব অনুমোদনহীন ও ভেজাল পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়। এসব ভেজাল পণ্য খেয়ে বিভিন্ন বয়সের লোকজন এবং শিশুদের মারাত্মক স্বাস্থ্যহানি ও জটিল রোগব্যাধি বাড়ছে। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই উপজেলা ও পৌর সদরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বেকারি অস্বাস্থ্যকর পণ্য তৈরি করে দেদারে বাজারজাত করছে। এসব পণ্য নানা কৌশলে বিভিন্ন ব্র্যান্ডে নামে মোড়ক তৈরি ও প্যাকেট করে বিক্রয় করা হচ্ছে। যত্রতত্র গড়ে ওঠা বেকারিগুলোতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে খাদ্যসামগ্রী। পৌর সদরের আশপাশের জনসাধারণের বিস্কুট ব্রেডসহ নানা প্রকারের বেকারি পণ্যের চাহিদা পূরণের জন্য পৌর সদরের আশপাশে অসংখ্য বেকারি গড়ে উঠেছে। সরকারি অনুমতি ছাড়াই উপজেলায় এমন অর্ধশতাধিক ছোট-বড় বেকারি মানহীন পণ্য উদপাদন করে বাজারজাত করছে। বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ও বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হলেও বেকারিতে তৈরি এসব পণ্য আওতামুক্ত থাকছে সচেতন মহল প্রশাসনের জরুরী হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।