মনিরুল ইসলাম: [২] সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজে কোনো প্রকার নয়-ছয় করার সুযোগ নেই।
[৩] শনিবার আশুলিয়ায় ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের ‘স্ট্যাটিক লোড টেস্ট’র জন্য পাইলট পাইল বোরিং কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
[৪] ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আমি পরিষ্কার বলে দিতে চাই, শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে সব প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ করা হবে। এখানে কোনো নয়-ছয় করার সুযোগ নেই।
[৫] মন্ত্রী জানান, ২০২৬ সালের জুনের ভেতর শেষ হবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ। প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে ঢাকার এই দ্বিতীয় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।
[৬] তিনি বলেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ প্রকল্পের লোনচুক্তি সম্পন্ন হবে। আমাদের তহবিল সংক্রান্ত কোনো সমস্যা নেই।
[৭] জানা গেছে, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের মোট ব্যয় ১৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে পাঁচ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা এবং চীন সরকার (জিটুজি) দেবে ১০ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকা।
[৮] চার লেনবিশিষ্ট এ এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য হবে ২৪ কিলোমিটার। এয়ারপোর্ট-আব্দুল্লাহপুর-ধউর-বড় আশুলিয়া-জিরাবো-বাইপাইল হয়ে ঢাকা ইপিজেড পর্যন্ত হবে এর বিস্তৃতি। এর সঙ্গে র্যাম্প হবে ১০ দশমিক ৮৪ কিলোমিটার, নবীনগরে ১ দশমিক ৯১৫ কিলোমিটার, চার লেনের ২ দশমিক ৭২ কিলোমিটার সেতু ও ১৮ কিলোমিটার ড্রেন। প্রকল্পের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন।